ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নতুনের আগমনে মুখর জবি ক্যাম্পাস


তব আঠারোর শুনেছি জয়ধ্বনি,
এ বয়স বাঁচে দুর্যোগে আর ঝড়ে,
বিপদের মুখে এ বয়স অগ্রণী
এ বয়স তবু নতুন কিছু তো করে সুকান্ত ভট্টাচার্যের আঠারো বছর বয়স কবিতার মতোই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ক্যাম্পাসে আগমন ঘটেছে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া ১৮ তম ব্যাচের। নতুন মানেই খুশি, নতুন মানেই উচ্ছ্বসিত প্রাণ, এমনিভাবেই নতুনের আগমনে মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো ক্যাম্পাস।

শিক্ষা জীবনের ১২টি সিঁড়ি পার করে বিশ্ববিদ্যালয়ে আগমন ঘটেছে নবীন শিক্ষার্থীদের। উচ্চশিক্ষার এ বিদ্যাপীঠকে কেন্দ্র করে কতই না স্বপ্ন তাদের বুকে। কেউ বিসিএস ক্যাডার, কেউ গবেষক, কেউ ব্যাংকার আবার কেউবা শিক্ষকতার মত মহান পেশার স্বপ্নকে বুকে লালন করে প্রতিটি শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয় যেন তাদের এ স্বপ্নগুলো পূরণে তাদের আরও একধাপ এগিয়ে দিল। এখন বাস্তবে রূপ নিতে শুরু করেছে তাদের স্বপ্নগুলো।

আজ ৩ সেপ্টেম্বর ওরিয়েন্টেশন ক্লাসের মাধ্যমে বুড়িগঙ্গার তীরে অবস্থিত পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে পা রেখেছে আরও একটি নতুন ব্যাচ। আড্ডা আর বন্ধুদের সঙ্গে পরিচয়ে সবাই ব্যস্ত। ভর্তি যুদ্ধে জয়ী হওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য দিনটি ছিল সত্যিই আনন্দের। চান্স পাওয়ার পর থেকেই তারা নতুন ক্যাম্পাস, নতুন পরিবেশ নিয়ে মনে মনে আঁকতে থাকেন নানা স্বপ্ন। কীভাবে কাটবে প্রথম দিন? প্রবীণরাও প্রস্তুতি নিতে থাকেন নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়ার জন্য।

সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে এক অন্যরকম পরিবেশ লক্ষ করা যায়। প্রতিটি ডিপার্টমেন্ট সেজেছে নতুনদের বরণ করে নিতে। তাদের ঘিরেই ব্যাস্ত যেনো পুরো ক্যাম্পাস। প্রবীণরা ব্যাস্ত নতুনদের বরণ করে নিতে। নবীনরা ব্যাস্ত ক্যাম্পাস ঘুরে দেখতে, বন্ধু, বান্ধবী, সিনিয়র বড়ো ভাই, বোনদের সাথে পরিচয় পর্বে। শিক্ষকরা নবীনদের রজনীগন্ধা ও গোলাপ ফুল উপহার দিয়ে তাদের ক্যাম্পাসে স্বাগত জানান। সবাই আনন্দের জোয়ারে মিলেমিশে একাকার হয়ে যান।

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সিনিয়র শিক্ষার্থী অনিক বলেন, ক্যাম্পাসে নবীনদের আগমন সত্যিই আনন্দের।বর্ষায় যেমন প্রকৃতি প্রাণ ফিরে পায় তেমনি নবীনদের আগমণে ক্যাম্পাস তার যৌবন ফিরে পায়।পুরো ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়।আমরা চেষ্টা করি তাদের যথাযথভাবে বরণ করে নেওয়ার।তাদের জড়তা কাটানোর জন্য তাদের সাথে স্নেহশুলভ আচরণ করি যাতে তারা সুন্দর ভাবে সকলের সাথে পরিচিত হতে পারে।পারস্পরিক সহায়তায় ক্যাম্পাসে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ পরিবেশ গড়ে তুলে সকলে মিলে মিশে থাকায় আমাদের উদ্দেশ্য।

>>>  জবির নতুন ক্যাম্পাসে হামলা, ভেঙ্গে ফেলেছে সীমানাপ্রাচীর

ওরিয়েন্টেশন ক্লাসে অংশগ্রহন করা গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী শাফায়াত বলেন, আমার বাবা তৎকালীন জগন্নাথ কলেজ থেকে লেখাপড়া শেষ করেছিলেন। আমি সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করার সুযোগ পেয়ে আনন্দিত। প্রথম দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাটানো সময় স্বরণীয় হয়ে থাকবে। ডিপার্টমেন্টের সবাই আমাদের দারুণ ভাবে গ্রহন করে নিয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

সর্বশেষ

এই বিভাগের সর্বশেষ

সর্বশেষ :