মো: ইয়াসির আরাফাত, রাবি প্রতিনিধি, স্লোগান
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে দক্ষ জনগোষ্ঠী এবং রেমিটেন্স (প্রবাসী আয়) একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই দুটি উপাদান দেশের অর্থনীতিকে মজবুত করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। দক্ষ কর্মীরা উৎপাদনশীলতা, প্রযুক্তি ব্যবহার, উদ্ভাবন, এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে সহায়ক। রেমিটেন্স বিদেশি মুদ্রা সরবরাহ বাড়ায়, পরিবারগুলির আর্থিক উন্নয়ন করে, অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখে, গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নে সহায়তা করে এবং সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে অবদান রাখে। সঠিক নীতি ও পরিকল্পনার মাধ্যমে এ দুটি উপাদানের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়।
বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, “কর্মীদের দক্ষ করে জনশক্তিতে পরিণত করে বিদেশে পাঠাতে হবে। বৈধ পথে তাদের অর্জিত রেমিটেন্স দেশে আনতে হবে।” বিগত ১৪ জুলাই ঢাকা টেকনিক্যাল টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে হাউজকিপিং প্রশিক্ষণ কোর্সের প্রস্তুতকৃত ম্যানুয়ালের ওপর প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা তুলে ধরেন।
হাউসকিপিং কোর্সের প্রশিক্ষকদের উদ্দেশ্যে প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, “প্রশিক্ষনার্থীদের নিজেদের পরিবারের সদস্য ভাবতে হবে। তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে। মনে রাখতে হবে, আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু তৈরি করতে সমর্থ হয়েছি। সব ধরনের বাধা দূর করে এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোকেও আধুনিকরণ করতে সমর্থ হবো।”
এছাড়াও, বিদেশ যেতে ইচ্ছুক জনসম্পদের উদ্দেশ্যে তিনি ভাষাজ্ঞান সম্পর্কিত বিষয়ে জোর প্রদান করেন ও কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে কি ধরনের ট্রেড চালু আছে বা কি কি ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মীদেরকে দেওয়া হয় তা সবাইকে জানার সুযোগ করে দেয়ার বিষয়ে কথা বলেন।
তিনি আরো যুক্ত করেন, “কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহ পুরোনো যন্ত্রপাতি দিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ায় তা নতুন প্রজন্মের কাজে লাগানো যাচ্ছে না। তাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহে আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শুধু প্রবাসী কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করলেই হবে না, প্রশিক্ষকদেরও প্রতিনিয়ত আধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।”
বাংলাদেশ এক বৃহৎ জনসমষ্টির রাষ্ট্র। এই জনসমষ্টি যদি সঠিক নির্দেশনা ও প্রশিক্ষণ পেয়ে উন্নত বিশ্বের জন্য প্রস্তুত হতে পারে, তাহলে রেমিটেন্স ও জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন খাতে অধিক উপার্জন সম্ভব। এই সমস্ত বিষয় বাস্তবায়নে সরকার সচেষ্ট রয়েছে এবং ক্রমাগত পদক্ষেপ প্রতীয়মান হচ্ছে।