গরমের তীব্রতা থেকে রেহাই পেতে এয়ার কন্ডিশনার এখন অপরিহার্য হয়েই দাঁড়িয়েছে। হঠাৎ চাহিদা বাড়ায় সরবরাহ নিশ্চিতে বেগ পেতে হচ্ছে বিক্রেতাদের। কোথাও অগ্রিম পেমেন্ট করে মিলছে এসি। যাদের সামর্থ্য কম তারা কিনছেন এয়ার কুলার বা ভালো মানের ফ্যান। তবে দাম নিয়ে বিস্তর অভিযোগ করছেন ক্রেতারা।
কয়েকদিন আগেও ক্রেতার অপেক্ষায় থাকত এসির দোকানগুলো। আর এখন তারা ক্রেতা সামাল দিতেই হিমশিম খাচ্ছেন। ঈদে নতুন পোশাকের চাইতেও এবার বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র। তবে আগের তুলনায় অনেক বেশি দামে ক্রয় করতে হচ্ছে।
বিক্রেতারা বলছেন, ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে মাস-তিনেক আগেই পণ্য ভেদে পাঁচ থেকে বিশ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে এসির দাম। এক সপ্তাহে বিক্রি বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ।
যাদের এসি কেনার সামর্থ্য নেই, তারা ঝুকছেন এয়ার কুলার এবং শীতল ফ্যানের দিকে। সেখানেও বেচা-কেনা রমরমা।
পাওয়ার সেল ডিজি প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসেন জানিয়েছেন, ফ্যান-এসির ব্যবহার বাড়ায় চাপ পড়ছে বিদ্যুতের ওপরেও। দেশে গত এক সপ্তাহে দৈনিক চাহিদা বেড়েছে প্রায় ৩ হাজার মেগাওয়াট। উৎপাদন বাড়িয়েও দেশের বিভিন্ন স্থানে দিতে হচ্ছে লোডশেডিং।
এসিসহ বাড়িতে সার্মথ্যবানদের কিছুটা স্বস্তি মিললেও, তীব্র গরমে ব্যাপক কষ্টে দিন কাটাতে হচ্ছে খেটে-খাওয়া মানুষদের।