এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় সারির বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে ধসে পড়েছিল বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। চারদিক থেকে ভেসে আসছিল সমালোচনা। এমনকী আফগানিস্তানের কোচ জোনাথন ট্রট পর্যন্ত বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজেদের ফেবারিট দাবি করেছিলেন! আজ পূর্ণশক্তির আফগান বোলারদের তুলোধুনো করে সব সমালোচনার জবাব দিল টিম টাইগার। ৫০ ওভারে সংগ্রহ দাঁড়াল ৫ উইকেটে ৩৩৪ রান।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেও টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। গত ম্যাচে অভিষিক্ত তানজিদ তামিমকে ড্রপ করে মেকশিফট ওপেনার হিসেবে নাঈম শেখের সাথী করা হয় মেহেদি মিরাজকে। দুজনে ১০ ওভারে উপহার দেন ৬০ রানের ওপেনিং জুটি। মুজিব উর রহমানের গুগলি বুঝতে না পেরে বোল্ড হয়ে যান ৩২ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ২৮ রান করা নাঈম।
৬ ওয়ানডের ক্যারিয়ারে এটাই তার সর্বোচ্চ স্কোর। তিন নম্বর পজিশনে চমক জাগিয়ে খেলানো হয় তাওহীদ হৃদয়কে। যিনি কোনো রান না করেই গুলবাদিন নাঈবের বলে স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন।
দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর মিরাজের সাথী হয় নাজমুল হোসেন শান্ত।
দুজনে মিলে ইনিংস গড়তে শুরু করেন। ১১৫ বলে বাংলাদেশের স্কোর তিন অংক স্পর্শ করে। ৬৬ বলে ফিফটি তুলে নেন মিরাজ। অন্যদিকে শান্ত দারুণ ব্যাটিংয়ে ৫৭ বলে ফিফটি পূরণ করেন। আফগান বোলারদের হতাশ করে জুটি ছাড়িয়ে যায় একশ।
একপর্যায়ে দুজনেই তুলে নেন সেঞ্চুরি। ১১৫ বলে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন মেহেদি মিরাজ। পরে তিনি রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন ১১৯ বলে ৭ চার ৩ ছক্কায় ১১২ রানে। অন্যদিকে নাজমুল হোসেন শান্ত তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন ১০১ বলে ৯ চার ২ ছক্কায়।
এই টপ অর্ডার ব্যাটার ১০৪ রানে থামেন রানআউটের শিকার হয়ে। দুজনের তৃতীয় উইকেট জুটিতে এসেছিল ১৯০ বলে ১৯৪* রান। মুশফিকুর রহিম দুঃখজনকভাবে রানআউট হওয়ার আগে করেন ১৫ বলে ১ চার ১ ছক্কায় ২৫ রান। আরও একটি রানআউটের শিকার অভিষিক্ত শামীম পাটোয়ারী। ৬ বলে ১১ রান করে ইনিংসটাকে বড় করতে পারেননি। শেষদিকে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের ১৮ বলে অপরাজিত ৩২* রানে টাইগারদের স্কোর দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ৩৩৪ রান।