ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রাজনীতিতে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ইমরান খান

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে পাঁচ বছরের জন্য রাজনীতিতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কর্তৃপক্ষ। তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় ইমরানকে দোষী সাব্যস্ত করে ইসলামাবাদ আদালত তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার পর গতকাল এমন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এর মানে, ইমরান খান আগামী ২০২৮ সাল পর্যন্ত এমপি হিসেবে থাকতে এবং নির্বাচনে লড়া কিংবা সরকারি দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। ৫ আগস্ট ইমরান খানকে কারাদণ্ড দেওয়ার পর লাহোরের জামান পার্কের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়ে থাকে।

ইমরান বলে আসছেন তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কিন্তু পাকিস্তান সরকার ইমরানকে গ্রেফতার কিংবা সাজা দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ইমরানকে রাজনীতিতে নিষিদ্ধ ঘোষণার আগে বিবিসিকে পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘আপনার কর্মের জন্য আইনত আপনাকে এর জবাবদিহি করতে হবে। এর সাথে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই।

আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়া একজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার হতেই হবে। ’ ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ইমরান বিদেশি বিশিষ্টজনদের কাছ থেকে যেসব উপহার পেয়েছিলেন সেই রাষ্ট্রীয় সম্পদ তিনি এবং তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বেআইনিভাবে বিক্রি করে দিয়েছিলেন বলে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে বলা হয়। এই নিয়ে ‘সচেতনভাবে মিথ্যা বলার’ দায়ে অভিযুক্ত করে অসৎ চর্চার জন্য সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে কারাদণ্ড দেন আদালত। ২০১৮ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন ইমরান খান।

পরে দেশের প্রভাবশালী সেনাবাহিনীর সাথে ইমরানের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, ইমরানের সাজা হওয়ার প্রেক্ষাপটে পাঁচ বছরের জন্য তাঁকে কোনো নির্বাচনে লড়ার অযোগ্য  বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

পাকিস্তানের নিয়ম অনুযায়ী, দোষী সাব্যস্ত কোনো ব্যক্তি দেশটির নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া সময়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন না।

ইমরান খানের আইনজীবীরা তাঁর সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন। আজ ইসলামাবাদ হাই কোর্টে এর আপিলের শুনানি করা হবে।


>>>  যুক্তরাজ্যে পাওয়া যাচ্ছে পবিত্র কাবার মতো সোনার বার

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

সর্বশেষ

এই বিভাগের সর্বশেষ

সর্বশেষ :