‘সারেগামাপা’ খ্যাত গায়ক মাঈনুল আহসান নোবেল একের পর এক নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েই চলেছেন। নড়াইলের রাস্তায় মদ্যপ অবস্থায় মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে পার্কিং করা মোটরসাইকেলের সাথে দুর্ঘটনার শিকার হন। এ ঘটনায় মোটরসাইকেল ক্ষতিগ্রস্থ হলেও অল্পতে রক্ষা পান নোবেল।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) রাত ৭ টার দিকে কালিয়া উপজেলার বড়দিয়া বিদ্যুৎ অফিস এলাকায় দুর্ঘটনা শিকার হয় নোবেল।
এসময় স্থানীয়রা নোবেলকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে গেলে তার মাতালামি দেখে অনেকে ভিডিও ধারন করেন। ঘটনার পরদিন শুক্রবার (১৮ আগস্ট) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নোবেলের মাতলামির কয়েকটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, নোবেল মদ্যপ অবস্থায় অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছেন, সেইসাথে স্থানীয়রা তাকে তাচ্ছিল্য করছেন। তারাই আবার সেবা শুশ্রষা দিয়ে কিছুটা স্বাভাবিক করে তার বন্ধুদের সাথে গোপালগঞ্জের উদ্দেশ্যে তাকে পাঠিয়ে দেন।
দুর্ঘটনার কবলে পড়া মোটরসাইকেল মালিক বলেন, বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সন্ধ্যার পর আমার বাড়ির সামনের সড়কের পাশে মোটরসাইকেল পার্কিং করে বাড়ির ভেতরে ঢুকছিলাম, তখন মোটরসাইকেল পড়ে যাওয়ার শব্দ শুনে দৌড়ে সেখানে যাই। গিয়ে দেখি মোটরসাইকেল সহ একজন পড়ে আছে। তাকে উঠায়ে ধমক দেই পরে মুখ দেখে চিনতে পারি যে সে গায়ক নোবেল। সে অসংলগ্নভাবে বলে, আমি গোপালগঞ্জের গায়ক নোবেল।
নোবেলকে এই অবস্থায় দেখে সত্যি আমি বিস্মিত হই! আমি নোবেলকে অনেক পছন্দ করতাম, তার এ অবস্থা দেখে কি আর বলবো? সে সরি বলেছে আর আমি একটা গাড়ি ঠিক করে নিয়েছি।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত বড়দিয়া এলাকার নাঈম বলেন, গায়ক নোবেল মদ খেয়ে আমাদের এলাকায় আগেও এসেছে। এবার মনে হচ্ছে একটু বেশি খাইছে তাই উল্টা পাল্টা কথা বলছিল। এলাকার লোকজন কিছুটা সুস্থ করে পাঠিয়ে দিয়েছে।
এই বিষয়ে মাঈনুল আহসান নোবেলের আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নোবেলের আত্নীয় ও স্থানীয় সাংবাদিক বাবলু মল্লিক জানান, গায়ক নোবেল কালিয়া উপজেলার বাগুডাঙ্গায় তার ফুফু বাড়ি বেড়াতে এসেছিলেন বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরের দিক। বাগুডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে তিনি বিকাল ৩ টার দিকে উপস্থিত হয়ে খালি গলায় একটি গান গেয়েছিলেন। সাড়ে ৩ টার দিকে বেরিয়ে যাওয়ার আগে তিনি ছোট ছেলেমেয়েদের আবদারে সেলফিও তোলেন। পরে তিনি কোথায় যায় সেই বিষয়ে আমার জানা নেই।