জেলা প্রতিনিধি, ভোলা
ভোলা জেলার দক্ষিণ আইচা থানাধীন করিমপাড়া বাজারে গত ২ জুন, ২০২৪ তারিখ এ আনুমানিক সময় ১২:৩০ এর দিকে সন্ত্রাসী হামলা চালায় বাছেদ পাটোয়ারীর পরিবারের উপর। সন্ত্রাসী হামলায় অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী- ০১. ইউসুফ(৩৩), পিতা: শাহিন, মাতা: শাইনুর, ০২. ইব্রাহিম (২৯),পিতা: শাহিন, মাতা: শাইনুর, ০৩. রুবেল(২৬), পিতা: শাহিন, মাতা: শাইনুর, এবং ০৪. আলাউদ্দিন পাটোয়ারী(৫১), পিতা: আলিমিয়া পাটোয়ারী প্রমুখের বিরুদ্ধে। শাহিন এর তিন ছেলে এবং আলিমিয়া পাটোয়ারী ছেলে প্রথমে বাছেদ পাটোয়ারী(৫০) কে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা শুরু করে, তারপর বাছেদ পাটোয়ারীর ছোট ছেলে মিরাজকে একা পেয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে সারা শরীরে আঘাত করে এবং বাছেদ পাটোয়ারীর আরেক ছেলে রিয়াজকে মারার জন্য স্লোগান দিয়ে খুঁজে তাকে পেয়ে পরিকল্পিত ভাবে হত্যার জন্য দেশীয় ধাঁরালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করে করিমপাড়া বাজারের উপর। এতে স্হানীয় লোকজন প্রথমে সন্ত্রাসীদের দেশীয় অস্ত্রের সামনে যেতে পারি নি, তারপর তারা কয়েকজন মিলে দেশীয় অস্ত্রধারী ইউসুফ(৩৩), ইব্রাহিম(২৯), রুবেল(২৬), এবং আলাউদ্দীন পাটোয়ারী (৫১) কাছে থেকে উদ্ধার করে বাছেদ পাটোয়ারী (৫০), রিয়াজ(২৬) এবং মিরাজ(২৩) কে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গুরুতর অবস্থায় ভর্তি করে। তারা হাসপাতালে ৭ দিন চিকিৎসা নিয়ে বাসায় আসলে, হামলাকারীরা আবারও তাদের বিভিন্ন ভাবে হত্যার হুমকি দেয়, যার ফলে বাছেদ পাটোয়ারী বাদী হয়ে চরফ্যাশন কোর্টে গিয়ে ইউসুফ(৩৩), ইব্রাহিম(২৯), রুবেল(২৬), এবং আলাউদ্দীন পাটোয়ারী (৫১) মামলা করেন।
তাছাড়া স্থানীয় লোকজনের কাছে জানতে চাওয়া হয় যে, শাহিনের ছেলেরা কেনো বাছেদ পাটোয়ারীর ছেলেদের উপর সন্ত্রাসী হামলা করলো? তখন স্হানীয় লোকজন জানায়, তাদের সাথে দীর্ঘদিন পারিবারিক সমস্যা চলছে জমি নিয়ে। বাছেদ পাটোয়ারী তার জমির সঠিক কাগজ দেখিয়ে বিচার চাইলে স্হানীয় ভাবে বিচার মানতে নারাজ ইউসুফ(৩৩), ইব্রাহিম(২৯), রুবেল(২৬), এবং আলাউদ্দীন পাটোয়ারী (৫১)। তারা জোর করে জমি দখল করে নিয়ে যেতে চায়, এছাড়াও শাহিন এর ছেলেদের বিরুদ্ধে স্হানীয় ভাবে অভিযোগ রয়েছে তারা বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন জিনিস চুরি করে। আরে জানা যায় বাছেদ পাটোয়ারী, ইউসুফ(৩৩), ইব্রাহিম(২৯), রুবেল(২৬), এবং আলাউদ্দীন পাটোয়ারী (৫১) নামে দক্ষিণ আইচা থানায় দুইটি মামলা করে যার একটি হলো বসতবাড়ি ভাংচুর এবং অন্যটি হলো পরিবেশ বান্ধব গাছ কাঁটার মামলা।