জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যানকে হুমকি ও তার সাথে বাকবিতন্ডতার অভিযোগ ওঠেছে এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী শিক্ষক শাহ নিস্তার জাহান কবির বিশ্ববিদ্যালয়ের গনযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান।
অভিযুক্ত সাঈদুল ইসলাম সাঈদ জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজীর অনুসারী। এছাড়া সে বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি।
প্রত্যক্ষদর্শী তথ্যসূত্রে জানা যায়,সোমবার বিকেলে শাহ নিস্তার জাহান কবির বিভাগের কার্যক্রম শেষ করে শিক্ষক বাসে ওঠার সময়, সাঈদুল ইসলাম এসে তাকে ঘিরে ধরে।মূলত সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে ডিভেটিং সোসাইটিতে দুইজন প্রতিনিধি তালিকা প্রেরণ করার জন্য শাহ নিস্তার জাহান কবীরকে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি প্রতিনিধি তালিকা নামঞ্জুর করে দিয়েছেন।তাই সাঈদুল ইসলাম নানাভাবে হুমকি ও ভয় দেখায়।
এছাড়া শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীদের কাছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমালোচনা করার জেদ ধরেই তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও হুমকি দেয় অভিযুক্ত সাঈদ।
এ বিষয়ে শাহ নিস্তার কবির বলেন,এ বিষয়টি আমার জন্য খুব অনাকাঙ্ক্ষিত ও বিব্রত। ইতোমধ্যে ডিবেটিং সোসাইটির আমাদের বিভাগীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিয়োগ দেওয়া আছে। তাদের মেয়াদ শেষের পূর্বেই বাদ দিয়ে অন্য কাউকে আমি চাইলে অন্য কাউকে দাইত্ব দিতে পারি না।এসব বিষয়ের জন্য আমাদের দাইত্বরত শিক্ষক আছেন।সে আমাকে এসে কিভাবে এ নিয়ে হুমকি দেয়। গতকাল তার আচরন কোনভাবেই ছাত্রসূলভ ছিল না। তার ব্যাবহারে আমি খুবই বিরক্ত।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইব্রাহীম বিন হারুন বলেন, আমি তাকে (সাঈদকে) বললাম যে আপনি এভাবে কথা বলতে পারেন না। তাতে সে বললো আমার গায়ে লাগে কেন? আমি বললাম,আমার সিনিয়র স্যারের সাথে এভাবে কথা বললে কেন আমার গায়ে লাগবে না? আপনার যদি তার সাথে ব্যক্তিগত কথা থেকে থাকে আপনি স্যারকে পার্সোনালি বলেন। জুনিয়র শিক্ষকদের সামনে আপনি স্যারের সাথে এভাবে কথা বলতে পারেন না।
অন্যদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কমিটির সদস্য জানায়,সভাপতি সাঈদুল ইসলাম সবসময় কমিটির উপর কর্তৃত্ব ও আধিপত্য খাটিয়ে থাকে।তার একপাক্ষিক সিদ্ধান্ত সকলের মান্য করতে হয়।এছাড়া কিছুদিন পরেই ডিবেটিং সোসাইটির নির্বাচন।সে ভোটার তৈরি করার জন্য বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপর চাপ প্রয়োগ করে থাকেন।
এ বিষয়ে জবি ডিবেটিং সভাপতি সাইদুল ইসলাম সাঈদের কাছে জানতে চাওয়া হলে, এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি বলে ফোন কেটে দেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির মডারেটর সহকারী অধ্যাপক মেফ্তাহুল হাসান বলেন, বিষয়টি শাহ নিসতার জাহান কবির স্যারের কাছ থেকে মৌখিকভাবে শুনেছি।স্যার অভিযোগ দিবেন বলেছেন।সামনে ডিবেটিং সোসাইটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাদের মিটিং রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন,অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।