ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

দক্ষিণ আইচায় প্রধান শিক্ষক জাহিদুলের রোষাণলে পড়ে বিদ্যালয়ে যেতে পারছেনা সহকারী শিক্ষক আক্তার

জেলা প্রতিনিধি, ভোলা

প্রধান শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম ইউসুফের নানা অনিয়ম-দুর্নীতি ও অপকর্মের প্রতিবাদ করায় রোষাণলে পড়ে স্কুল যেতে পারছেনা ১৬৮ নং দক্ষিণ চর আইচা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আক্তার হোসেন। প্রধান শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম ইউসুফ আক্তারকে নানাভাবে মানষিক নাজেহাল,নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সংশ্লিষ্টতার তকমা, সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা, তার মানহানির চেষ্টাসহ সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়েছেন তার পিছনে। সন্ত্রাসীরা স্কুল এসে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে যায় এবং স্কুল এড়িয়ার বাহিরে পেলে মেরে ফেলার হুমকি দেয় । এতে সহকারী শিক্ষক আক্তার হোসেন জীবননাশের ভয়ে স্কুল যেতে পারছেনা। এর থেকে প্রতিকার চেয়ে আক্তার উপপরিচালক বরিশাল, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে লিখিতভাবে অবহিত করেছেন।
সহকারি শিক্ষক আক্তার জানান, আমি প্রধান শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম ইউসুফের নানা অনিয়ম দুর্নীতি ও অপকর্মের প্রতিবাদ করি। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাত, স্কুল না এসে অথবা দু’ তিন ঘণ্টা পরে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর, শিক্ষাথীদের প্রাপ্য বিস্কুট তাদেরকে না দিয়ে প্রধান শিক্ষকের আত্মীয় স্বজনের মাঝে বিলিবণ্টন,বই বিতরণে ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে ১০০ টাকা করে আদায়, বিদ্যালয়ের আসবাব পত্র তার ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের প্রতিবাদ করলে প্রধান শিক্ষক আমার বিরুদ্ধে ওঠে পড়ে লাগেন। তার ভগ্নিপতি রুহুল আমিনকে পণ্ডিতকে দিয়ে নানা উদ্ভট কাহিনী তৈরি করে আমার বিরুদ্ধে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেওয়ায়। এমনকি স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসীকে আমার পিছনে লেলিয়ে দেয়। সন্ত্রাসীরা কয়েক দিন আগে স্কুল এসে আমাকে নানা ধরনের হুমকি -ধামকি দেয়। তখন প্রধান শিক্ষক জাহিদুল বলে শালার পুতের সাথে কীসের কথা বলস মার শালারে, বাকিটা আমি দেখব। তখন ৪/৫ জন সন্ত্রাসী গাল মন্দ করতে করতে দেশিয় অস্ত্র নিয়ে আমার দিকে তেড়ে আসে। এতে অন্যান্য সহকারী শিক্ষকরা আমাকে বাঁচাতে আসলে প্রধান শিক্ষক জাহিদুল তাদেরকে বাধা দেয়। এ সময় সন্ত্রাসীরা আমার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় ও তাতে সংরক্ষিত প্রধান শিক্ষকের সকল অপকর্ম মুছে দেয়। আমার সাথে খুবই দুর্ব্যবহার করে আমাকে স্কুলে আটকে রাখে। স্থানীয় জনগণের উপস্থিতির কারণে আমাকে মারতে না পারলেও হুমকি দিয়ে বলে যায় স্কুলের বাইরে পেলে মেরে ফেলার। এতে আমি চরম নিরাপত্তা হীনতায় আছি। আমি প্রধান শিক্ষকের লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসীদের ভয়ে স্কুল যেতে পারছিনা।
এর আগেও প্রধান শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম ইউসুফের বিরুদ্ধে তার আপন ভাই রফিকুল ইসলাম নানা অনিয়ম দুর্নীতি ও অপকর্মের অভিযোগ এনে উপপরিচালক বরিশাল , জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহি অফিসার, উপবৃত্তি মনিটরিং অফিসার ও উপজেলা প্রাথমিকক শিক্ষা অফিসার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন করেন বলে জানান স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা আরো জানান, প্রধান শিক্ষক জাহিদুলের অপকর্ম অনেক পুরনো। তার অপকর্মের প্রতিবাদ করে স্কুলের সহকারী শিক্ষক আবদুল খালেক প্রধান শিক্ষক ও তার ভাইয়ের হাতে নিগৃহীত হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় শালিশ বৈঠকে প্রধান শিক্ষক দোষী সাব্যস্ত হলে প্রধান শিক্ষক জরিমানা প্রদান ও ক্ষমা চেয়ে রক্ষা পায়।
এ ব্যাপারে জানতে প্রধান শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম ইউসুফের মোবাইল নাম্বারে কল দিয়ে নাম পরিচয় বলার সাথে সাথে সে কল কেটে দেয়।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রধান শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম ইউসুফের বিরুদ্ধে আক্তার হোসেন যে অভিযোগ করেছে তা পেয়েছি, সহকারী শিক্ষক আক্তার হোসেনের বিরুদ্ধেও অভিযোগ পেয়েছি। দুটোই তদন্তে দিয়েছি। তদন্ত পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

>>>  ভোলায় দেশের ২৯তম গ্যাসক্ষেত্র পেল বাপেক্স

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

সর্বশেষ

এই বিভাগের সর্বশেষ

সর্বশেষ :