কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ধান কেটে কৃষকের পাকা ধান ঘরে তুলে দিয়েছে জবি আইন বিভাগের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তারা দাউদকান্দি উপজেলার জিংলাতলী ইউনিয়নে কৃষকদের জমির ধান কাটেন। এতে নেতৃত্ব দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ জিন্নাতুল ফেরদৌস জিন্না।
গত কয়েকদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জবি ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মীর ধান কাটার চিত্র দেখা যায়। যা প্রশংসায় ভাসছে।
এদের একজন হলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ জিন্নাতুল ফেরদৌস জিন্না এবং অন্যজন আইন অনুষদ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি অনন্য প্রতীক রাউত। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জিন্না এবং অনন্য উভয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো: ইব্রাহিম ফরাজির অনুসারী।
এই বিষয়ে আইন অনুষদ ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ জিন্নাতুল ফেরদৌস জিন্না বলেন, কৃষি ও খাদ্য শস্যে দেশকে স্বয়ংসসম্পূর্ণ করে গড়ে তোলার কারিগর বাংলাদেশের মানুষের আশা ভরসার কেন্দ্রস্থল প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা। তাঁর উন্নয়ন দর্শনের বড় অংশ জুড়ে রয়েছে কৃষি ও কৃষক। তারই ধারাবাহিকতায় কুমিল্লার দাউদকান্দিতে আবাদি জমিতে সরেজমিনে মাঠে কৃষক ভাইদের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে ধান কাটার কাজে অংশগ্রহণ করি। ছাত্রলীগ সবসময় খেটে খাওয়া জনগণের পাশে ছিল আছে থাকবে। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা এবার কৃষকদের পাশে দাড়িয়ে তাদের ধান কাটায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছি।
আইন অনুষদ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি অনন্য প্রতীক রাউত বলেন, কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলায় আমরা প্রায় দশ জন মিলে কৃষকদের সাথে ধান কেটে তাদের বাড়িতে পৌছে দিয়েছি। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন হওয়ায় কৃষক, শ্রমিক তথা মেহনতী মানুষের পাশে থাকাটাই ছাত্রলীগের আদর্শ হওয়া উচিত। সেই ধারাবাহিকতায় বর্তমান ছাত্রলীগ সময়ের সেরা এক কর্মকান্ড সম্পাদন করে যাচ্ছে। ছাত্রলীগ সমাজের প্রতিটি স্তরের কাজেই স্বেচ্ছাসেবীর ন্যায় কাজ করতে সর্বদা প্রস্তুুত।
তিনি আরো বলেন, কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সংগ্রামী সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ভাই ও বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান ভাইয়ের প্রতি। পাশাপাশি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সংগ্রামী সভাপতি মো.ইব্রাহিম ফরাজি ভাই ও বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক এস এম আক্তার হোসেন ভাইকেও সময়ের সেরা এই কর্মকাণ্ডে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগকে অন্তর্ভুক্ত করবার নির্দেশনা দেয়ায়৷
আমরা ক্ষুদ্র কর্মীরা প্রত্যাশা করি ছাত্রলীগ সবসময়ই গণমানুষের মুক্তির কথা বলে, সমাজ পরিবর্তনের দায় কাঁধে নিয়েই এগিয়ে চলে। তাই ৷ দলীয় নির্দেশনা পেলে ছাত্রলীগ বৃহৎ পরিসরে মানুষের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে সব করতে সবসময় আমরা তৈরী আছি।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ইনানের নির্দেশে সারাদেশে কৃষকদের সহায়তা করছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।