ভোলার চরফ্যাসনে বসতঘরের পাশের গাছ উপড়ে ফেলার প্রতিবাদ করায় দুই স্কুল শিক্ষকের ওপর হামলা ও বসত ঘর ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী হাফেজ পাটোয়ারী(৭৫), তার ছেলে : শাকিল( ২২), আরেক ছেলে: রিয়াজ (২৪)জামাই এবং নাম না জানা আরো ৩-৪ জন, এছাড়াও (হাফেজ পাটোয়ারীর ছেলে কল দিয়ে ওই ৩-৪ টা বাইরের ছেলে নিয়ে এসে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা শুরু করে। বুধবার রাতে শশীভূষণ থানার জাহানপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পাটোয়ারী বাড়িতে এঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় দুই স্কুল শিক্ষককে উদ্ধার করে রাতেই চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। এঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে ভাই আবদুল আজিজ বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে শশীভূষণ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আহত মো. আওয়াব হোসেন, সহকারি শিক্ষক, ১১৭ নং ভাষানচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ও মো. সোহেল, সহকারী শিক্ষক, ১৮১ পশ্চিম জাহানপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিক্ষক আওয়াব হোসেন জানান, প্রতিবেশী বখাটে যুবক সুমন ও শাকিল তাদের বসতঘরের পাশ দিয়ে কাঁকড়া ট্রলি দিয়ে ইট আনা নেয়া করছিলেন। এসময় নিজের সুবিধা মতো তার বসতঘরের পাশের কিছু গাছ কেটে ও উপড়ে ফেলেন । গাছ উপড়ে ফেলার প্রতিবাদ করায় ওই দুই যুবককের সাথে তার তর্ক বাধে। তর্কের জের ধরে বখাটে যুবক সুমন ও শাকিলসহ ১০/১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ চক্র দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের ওপর অর্তকিত হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করেন এবং তাদের ঘরবাড়ি ব্যাপক ভাঙচুর করে তাছাড়া তাদেরব বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে খবর পেয়ে স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। শশীভূষণ থানার ওসি মু.এনামুল হক সাথে কথা বলে জানতে চাইলে তিনি জানান, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি খতিয়ে দেখে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।