টাইগার কোচ চন্দিকা হাতুরাসিংহে ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ম্যাচের আগের দিন গতকাল শুক্রবার হুট করেই জানা গেল, ভারত-পাকিস্তান সুপার ফোরের ম্যাচের জন্য একটা রিজার্ভ ডে রাখা হয়েছে! তবে আর কোনো ম্যাচের ক্ষেত্রে এই সুবিধা রাখা হয়নি। বিষয়টা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। দুই দলের কোচই গতকাল ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এসে ক্ষোভ ঝাড়েন। টাইগার কোচ চন্দিকা হাতুরাসিংহের বক্তব্যের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করতে বাধ্য হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
আগামীকাল রবিবার কলম্বোতে মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। যাদের গ্রুপ পর্বের ম্যাচটি বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়েছিল। যেই কারণে সুপার ফোরে রিজার্ভ ডে রাখা হয়েছে। দুটি দলকে এমন বিশেষ সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে গতকাল বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে হাতুরাসিংহে বলেছিলেন, ‘এটা ঠিক নয়।
কারণ, আমরাও একটা অতিরিক্ত দিন চাইতে পারি। এই ছাড়া এটা নিয়ে আমার আর কিছু বলার নেই। কারণ, তারা একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। একবার যখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গেছে, আমাদের বেশি কিছু বলার নেই।বিষয়টি নিয়ে আমাদের সাথে আগে আলোচনা করলে এই নিয়ে মতামত দিতে পারতাম। এই সিদ্ধান্ত যখন নেওয়াই হয়ে গেছে, আমার এই নিয়ে কোনো চিন্তা নেই…টুর্নামেন্টের মাঝপথে নিয়ম পরিবর্তন করার এই ঘটনা আমি অন্য কোনো টুর্নামেন্টে দেখিনি।’
হাতুরার কথায় পরিস্কার, তারা ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের রিজার্ভ ডের ব্যাপারে কিছুই জানতেন না। সেই সংবাদ সম্মেলনের কয়েক ঘণ্টা পর সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে লেখা হয়, ‘এশিয়া কাপের প্লেয়িং কন্ডিশন সংশোধন করে সুপার ফোর পর্বের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের জন্য ১১ সেপ্টেম্বর একটি রিজার্ভ ডে রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে সুপার ফোরের চারটি দল ও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল সম্মিলিত ভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের রিজার্ভ ডে থাকার খবরটি ফাঁস হয় ক্রিকেট বিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ‘ক্রিকইনফো’র এক প্রতিবেদনে। বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। শ্রীলঙ্কার প্রধান কোচ ক্রিস সিলভারউডও সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘অবাক করা ব্যাপার। প্রথমবার শুনেই চমকে গিয়েছিলাম। আমরা তো টুর্নামেন্টের আয়োজক নই। তাই এই ব্যাপারে আমাদের কিছু করার নেই।’