লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে পৃথক স্থানে পানিতে ডুবে সাদিয়া আক্তার জাইফা (২) ও মো. ওমর (৪) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের হরিচ্ছর গ্রামে সাদিয়া ও করপাড়া ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামে ওমরের মৃত্যু হয়।
নিহত সাদিয়া হরিচ্ছর গ্রামের দিনমজুর দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে। অপর নিহত ওমর একই উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের করপাড়া গ্রামের হামিদুর রহমানের ছেলে।
নিহত সাদিয়ার বাবা দেলোয়ারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাদিয়া ঘরের বাইরে খেলছিল। তখন তার মা ঘরের একটি কাজে ব্যস্ত ছিলেন। তার অগোচরেই সাদিয়া পুকুরের পানিতে পড়ে ডুবে যায়। কিছুক্ষণ পর তাকে ঘরের বাইরে দেখতে না পেয়ে তার মা খোঁজাখুঁজি করেন। একপর্যায়ে পুকুরের পানিতে তাকে ভাসতে দেখেন। তাৎক্ষণিক সাদিয়াকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সাদিয়ার বাবা দেলোয়ার হোসেন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, দিনমজুরির পাশাপাশি আমি একটি স্কুলে দপ্তরির কাজ করি। এজন্য সারাদিনই ব্যস্ত থাকতে হয়। স্কুলে কাজ করতে গিয়ে শুনতে পাই, মেয়েটি পানিতে ডুবে মারা গেছে। মেয়েটি আমাকে আর আদর করবে না, খুব কষ্ট হচ্ছে। ছোট্ট সাদিয়ার মুখের হাসি আর দেখতে পাবো না।
চন্ডিপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) ইমরান হোসেন জানান, ঘটনাটি দুঃখজনক। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই শিশুটি মারা গেছে। থানা পুলিশের সঙ্গে কথা বলে মরদেহ দাফনের জন্য বলা হয়েছে।
এদিকে নিহত ওমরের বাবা হামিদুর রহমান বলেন, আমি ঘটনার সময় বাজারে ছিলাম। ওমর একা ঘরে খেলছিল। তার মাও ঘরের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এ সময় তার মায়ের অগোচরে ওমর ঘর থেকে বের হয়ে পুকুরে পড়ে পানিতে ডুবে যায়। পরে ওমরকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী বশিকপুর ইউনিয়নের পোদ্দার বাজার ভাই ভাই হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান পূর্বপশ্চিমকে বলেন, ঘটনাগুলো কেউ আমাদের জানায়নি। এবিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া হবে।