ঢাকা, সোমবার, ৪ঠা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

লক্ষ্মীপুরের ২টি আসনে ৭ জনের মনোনয়ন বাতিল, বৈধ ১৪

লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) ও লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর-সদর আংশিক) আসনে ৭জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এ দুই আসনে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ১৪ জন। স্থগিত রাখা হয়েছে একজনকে। এছাড়া সাবেক সংসদ সদস্য এমএ আউয়ালের মনোনয়নপত্র স্থগিত রাখা হয়েছে।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা সুরাইয়া জাহান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনে চারজনের মনোনয়নপত্র বাতিল ও একজনের স্থগিত করা হয়েছে। এর মধ্যে তরিকত ফেডারেশনের মো. শাহজালাল, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মোশারফ হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান পবন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারুক হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া ঋণখেলাপির অভিযোগ থাকায় এ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও তরিকত ফেডারেশনের সাবেক মহাসচিব আউয়ালের মনোনয়নপত্র স্থগিত রাখা হয়েছে। তিনি তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

এদিকে, এ আসনে চারজনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও রামগঞ্জ উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন খান, জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও জেলা কমিটির সভাপতি মাহমুদুর রহমান মাহমুদ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের নিয়াজ মাখমুদ ফারুকী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য এমএ গোফরান।

লক্ষ্মীপুর-১ আসনের বিষয়ে জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান মনোনয়ন বাছাই কার্যক্রমের সভায় জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী আউয়ালের ঋণখেলাপি রয়েছে। তবে তার প্রতিনিধি জানিয়েছেন ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে। ঋণ পরিশোধের সত্যতা দিতে না পারলে তার মনোনয়ন বাতিল করা হবে। এছাড়া পবনের দেওয়া ১ শতাংশ ভোটারের তথ্যে ১০ জনকে যাচাই করতে গেলে একজনকে মৃত পাওয়া যায়। এছাড়া দুজনের ভোটার নম্বর ভুল থাকায় তথ্য যাচাই করা সম্ভব হয়নি। এতে পবনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। অন্য প্রার্থী মোশারফ ঋণখেলাপির দায়ে, পূর্ণ বয়স না হওয়ায় শাহজালাল ও ১ শতাংশ ভোটার তালিকায় গরমিল থাকায় ফারুকের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।

>>>  পুলিশি বাধায় নয়াপল্টন কার্যালয়ে যেতে পারলেন না মির্জা ফখরুল

লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর ও সদরের একাংশ) আসন থেকে তিনজনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে কুয়েতে দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলামের স্ত্রী ও কুমিল্লার সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলামের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনে তার বিরুদ্ধে থাকা মামলার তথ্য তিনি গোপন করেছেন। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী ‘আমরা ক’জন মুজিব সেনা’ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এএফ জসিম উদ্দিন আহমেদ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরহাদ মিয়ার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।

এ আসন থেকে ১০ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও নোয়াখালী কমিটির সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন আহমেদ মিঠু, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের শরীফুল ইসলাম, জাসদের আমির হোসেন, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মোরশেদ আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল্লা আল মাসুদ, উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক জহির হোসেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী চৌধুরী রুবিনা ইয়াছমিন লুবনা, ইমাম উদ্দিন সুমন ও মনসুর রহমান।

লক্ষ্মীপুর-২ আসনের বিষয়ে ডিসি জানান, সেলিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে মামলা রয়েছে। তিনি তথ্যটি গোপন করেছেন। লক্ষ্মীপুরের আইনজীবী রাসেল মাহমুদ মান্না বিষয়টি বাছাই কমিটির সভায় উপস্থাপন করেন। পরে তিনি এফিডেভিটের মাধ্যমে মামলার তথ্যটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এতে সেলিনা ইসলামের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া এক শতাংশ ভোটার তালিকায় গরমিল থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী এএফ জসিম উদ্দিন আহমেদ ও ফরহাদ মিয়ার মনোনয়ন বাতিল করা হয়।

প্রসঙ্গত, সোমবার (৪ ডিসেম্বর) লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) ও লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি ও কমলনগর) আসনের মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের শেষ দিন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

সর্বশেষ

এই বিভাগের সর্বশেষ

সর্বশেষ :