সাংবাদিক সমুদ্র হক আর নেই। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকালে তিনি ইন্তেকাল করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি স্ত্রী এবং দুই কন্যা সন্তান, ৪ভাইসহ অনেক আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তার ছোট কন্যা পৃথা জানান, তারা বাবা হৃদরোগে ভুগছিলেন। আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তার শ্বাসকষ্ট শুরু হলে শহরের সূত্রাপুর গোহাইল রোডস্থ বাড়ি থেকে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তার সহকর্মী ও বগুড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহমুদুল আলম নয়ন তার পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, আজ বাদ মাগরিব বগুড়া কেন্দ্রীয় ঈদগাহ্ মাঠে তার নামাজের জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর দক্ষিণ বগুড়া গোরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। এর আগে বেলা ৩টায় তার মরদেহ বগুড়া প্রেসক্লাবে নিয়ে আসা হবে। সেখানে ৪টা পর্যন্ত তাকে শ্রদ্ধা জানানো হবে।
সমুদ্র হকের দুই কন্যার মধ্যে বড় জ্যোশিতা ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন। ছোট কন্যা পৃথা বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে শেষ বর্ষে পড়ছেন।
জানা গেছে, বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার রাণীরপাড়া তাঁর পৈত্রিক নিবাস। সমুদ্র হকের পারিবারিক নাম এ এসএম খবিরুল হক ফারুক। পত্রিকায় তিনি সমুদ্র হক নামে লিখতেন। তিনি ১৯৮৪ সালে সাংবাদিকতা শুরু করেন। সে সময় বগুড়া থেকে প্রকাশিত ‘দৈনিক উত্তরবার্তা’ পত্রিকায় রিপোর্টার হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরপর ১৯৯২ সালে ঢাকা থেকে প্রকাশিত ‘দৈনিক জনকণ্ঠ’ পত্রিকার বগুড়া অফিসে স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে যোগ দেন।
এছাড়া তিনি বেশ কিছুদিন ‘ডেইলি স্টার’ পত্রিকায় কাজ করেছেন। অনবদ্য ফিচার লেখায় সমুদ্র হকের নাম ছড়িয়ে পড়েছিল দেশব্যাপি। বগুড়া তথা উত্তরাঞ্চলের শ্রেষ্ঠ ফিচার লেখক হিসেবে তিনি ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছিলেন।