ইরানের রাজধানীতে তেহরানে রবিবার কয়েকটি ভবন ধসের ঘটনা ঘটেছে।এখনো পর্যন্ত দুই পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজন নিহত এবং অন্তত ১১ জন আহত হয়েছে বলে সোমবার স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।
ইসনা নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, তেহরানের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে রবিবার পরিকল্পিতভাবে ‘অননুমোদিত ভবন’ ধ্বংস করার সময় সেখানে সুরক্ষার দায়িত্বে পুলিশ সদস্যরা ছিলেন। বার্তা সংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, সেখানে থাকা দুই কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।
তেহরানের ফায়ার ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র জালাল মালেকি ফার্স নিউজ এজেন্সিকে বলেছেন, সামগ্রিকভাবে ‘ধসের ফলে এখনো পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা’ পাঁচ জন।
ইসনা অনুসারে, কর্তৃপক্ষ একটি ভবন ভাঙার কাজ শুরু করলে পাশে থাকা অন্য পাঁচটি ভবন ধসে পড়ে।
ইসনা এবং তাসনিম জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপাপরাদের খুঁজে বের করতে উদ্ধার অভিযান চলছে।
তাসনিম প্রকাশিত ঘটনাস্থল থেকে তোলা ছবিগুলোতে দেখা গেছে, উদ্ধারকারীরা ভারী যন্ত্রপাতি নিয়ে একটি ধ্বংসাবশেষের স্তূপের নিচে কাজ করছেন ও তাদের আশপাশে অন্যান্য অসমাপ্ত ও আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনসহ কয়েক মিটার উঁচু ধাতু রয়েছে।
ইসনা পুলিশের একটি বিবৃতি করে বলেছে, ‘নির্মাণ সুরক্ষা ব্যবস্থা’ মান্য না করায় ভবনগুলো ধসে পড়েছে।
হামশাহরি সংবাদপত্র অনুসারে, তেহরান শহরের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, কর্তৃপক্ষ গত দুই বছরে ৪৬ হাজারেরও বেশি অননুমোদিত ভবনকে ধ্বংস করা হয়েছে ।
২০২২ সালের মে মাসে ইরানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে একটি ভবন ধসে ৪৩ জন নিহত হয়েছিল, যা দেশটির সবচেয়ে মারাত্মক ঘটনা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। খুজেস্তান প্রদেশের আবাদান শহরে নির্মীয়মাণ ১০তলা মেট্রোপল ভবনের পতন, দুর্নীতি এবং অদক্ষ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিবাদের এবং বিক্ষোভ দেখা দেয়।
সূত্র : এএফপি