নিউজিল্যান্ডের রাজধানী ওয়েলিংটনের একটি হোস্টেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ক্রিস হিপকিনসের জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে চারতলা লোফার্স লজ হোস্টেলে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই ছাড়া আরো ১১ জন নিঁখোজ রয়েছেন বলে জানা যায়।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মধ্যরাতের ঠিক পরে ওয়েলিংটনের চারতলা লোফারস লজ হোস্টেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে ও এর পরপরই জরুরি পরিষেবাগুলোকে সেখানে ডাকা হয়। দুর্ঘটনাকবলিত বিল্ডিং থেকে কয়েক ডজন লোককে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে পুলিশ বলেছে, এখনও অনেক লোকের খোঁজ পাওয়া যায়নি। ভবনটিতে প্রবেশ করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধারকর্মীদের। দমকলকর্মীরা জানান, তারা যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তখন ভবনের উপরের তলায় আগুন জ্বলতে দেখতে পান। ভোর ৪টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ট্রাকের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ফায়ার অ্যান্ড ইমার্জেন্সি ডিস্ট্রিক্ট কমান্ডার নিক পাইট অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনাকে ওয়েলিংটনের ‘সবচেয়ে খারাপ দুঃস্বপ্ন’ বলে অভিহিত করেছেন। পুলিশ বলছে, তারা ৯২টি কক্ষের এই বিল্ডিংটিতে প্রবেশ না করা পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে কোনো তথ্য দিতে পারেবেন না। সংবাদমাধ্যম নিউজহাব জানিয়েছে, ওই হোস্টেলটিতে প্রায় ১০০ জনের মতো মানুষ থাকতেন। আর হোস্টেলটির বাসিন্দাদের বেশিরভাগই একটি হাসপাতালে কাজ করতেন। তারা একেকজন একেক সময় কাজে যেতেন। ফলে যখন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে তখনই ওই হোস্টেলের ভেতর কতজন ছিলেন সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তিনি আরো বলেন, বিল্ডিংটিতে অ্যাসবেস্টস রয়েছে। এই কারণে সেখানকার বাসিন্দাদের মাস্ক পরতে ও ধোঁয়ায় শ্বাস নেওয়া এড়াতে নিজেদের জানালা বন্ধ রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। ফায়ার অ্যান্ড ইমার্জেন্সি ডিস্ট্রিক্ট কমান্ডার পাইট বলেন, ‘এটি সকলের জন্য দুঃখজনক ঘটনা। যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের প্রিয়জনদের প্রতি আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক সমবেদনা।’
কর্তৃপক্ষ জ্বলন্ত ভবনের ছাদ থেকে অন্তত পাঁচজনকে উদ্ধার করেছে ও আগুন থেকে বাঁচতে ভবনের তৃতীয় তলা থেকে লাফ দেওয়ার পর একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনও অজানা। তদন্ত চলছে বলে জানা যায়।
সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স