ঢাকা, রবিবার, ১৩ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নওগাঁয় বিদ্যালয়ের ল্যাবের কম্পিউটার হারানোর এক বছরেও জানেন না কর্তৃপক্ষ 

দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন ও ডিজিটালাইজড করতে প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব একটি বিশেষ প্রকল্প হচ্ছে বিদ্যালয়ে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেন নিজের বিদ্যালয়েই কম্পিউটার ও আইসিটি বিষয়ে শিক্ষা নিতে পারে এবং বিদ্যালয়ের সকল কাজ ওই ল্যাবের কম্পিউটারের মাধ্যমে সম্পন্ন করা যায় সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই মূলত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ছোট ভাই শহীদ শেখ রাসেলের নামেই প্রকল্পটি স্থাপন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

তারই ধারাবাহিকতায় নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার আতাইকুলা জনকল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয়, রাণীনগর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, গোনা উচ্চ বিদ্যালয়, আকনা-বাঁশবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়, বিলকৃষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়, রাতোয়াল বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ উচ্চ বিদ্যালয়, আবাদপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়, মধুপুর উচ্চ বিদ্যালয়, শফিকপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও পাঁচুপুর দাখিল মাদ্রাসাসহ মোট ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থাপন করা হয়েছে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব। এছাড়াও নতুন করে আরো ১৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই ল্যাব স্থাপনের অনুমোদন পেয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর সেই বিশেষ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্থাপিত শফিকপুর উচ্চ বিদ্যালয়েও স্থাপন করা হয় শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব। বিদ্যালয়ে ল্যাবটি স্থাপন করার পর উচ্চ মূল্যের ১৭টি ওয়ালটন ল্যাপটপ প্রদান করা হয়। চুক্তি অনুসারে এই ল্যাবের সকল উপকরণগুলো নিয়োগকৃত শিক্ষকসহ বিদ্যালয়ের সকলকে হেফাজত করার দায়িত্ব প্রদান করা হয়। কিন্তু গত ২০২২সালের নভেম্বর মাসে বিদ্যালয়ের ল্যাব থেকে একটি ল্যাপটপ কম্পিউটার হারিয়ে যায়। আনুমানিক ৫০হাজার টাকা মূল্যের এই ল্যাপটপটি হারানোর এক বছরের বেশি সময় পার হলেও এখন পর্যন্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কিংবা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কাউকেই বিষয়টি জানায়নি এমনকি থানায় একটি জিডিও করেনি। প্রধান শিক্ষকের এমন দায়িত্বহীন কান্ডে হতবাক সংশ্লিষ্টরা।

শফিকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) শহিদুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, বাহিরের কোন চোর ল্যাব থেকে ল্যাপটপটি চুরি করেনি। বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরের কোন ব্যক্তি নিয়েছে। তাই বিষয়টি তিনি গুরুত্বসহকারে ভাবেননি। সরকারি জিনিস হারানোর পর যে আইনের আশ্রয় নিতে হয় কিংবা সঙ্গে সঙ্গেই উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে সেই বিষয়টিও তার জানা ছিলো না। এছাড়া ল্যাপটপটি হারানোর পর নানা জটিলতার কারণে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে তা তিনি ভুলে গেছেন। সম্প্রতি তিনি ল্যাপটপটি হারানোর বিষয়টি তার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন বলেও জানান। 

>>>  সাংসদের বাড়িতে মিলন মেলা, মুখরিত এলাকাবাসী

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান বিদ্যালয়ের কেউ এখন পর্যন্ত বিষয়টি তাকে জানায়নি। আপনার (সাংবাদিক) মাধ্যমেই বিষয়টি জানতে পারলাম। একজন বিদ্যালয় প্রধান এমন দায়িত্বহীন কাজ কেমন করে করতে পারেন তা ভাবনাতেও আসছে না। সরকারি কোন জিনিস হারালে অবশ্যই সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর পরামর্শ অনুসারে পরবর্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু ওই প্রধান শিক্ষকের এমন দায়িত্ব জ্ঞানহীন কাজে সত্যিই আমি বিস্মিত। দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে এই বিষয়ের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

সর্বশেষ

এই বিভাগের সর্বশেষ

সর্বশেষ :