আগামীকাল সোমবার খুলনায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন দুপুরে খুলনার ঐতিহ্যবাহী সার্কিট হাউজ মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন তিনি। এছাড়া জনসভাস্থল থেকেই উদ্বোধন করবেন ২২টি উন্নয়ন প্রকল্প।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে বর্ণিল সজ্জায় সেজেছে মহানগরীর প্রতিটি এলাকায়। এমনকি প্রতিটি সড়কে নির্মাণ করা হয়েছে দুই শতাধিক তোরণ মোড়ে মোড়ে শোভা পাচ্ছে রং হরেক রঙের ব্যানার ফেস্টুন। তেমনি প্রধানমন্ত্রীর আগমনে উচ্ছসিত আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাকে সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। চলছে মাইকিং, পোস্টারিং, প্ল্যাকার্ড, বিলবোর্ড, তোরণ নির্মাণ, আলোকসজ্জা, প্রচার মিছিল। প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে কেন্দ্র করে গোটা খুলনা নগরী নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি)।
আওয়ামী লীগের স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে জানাযায়, ইতোমধ্যে দফায় দফায় দল ও সহযোগী সংগঠনগুলো প্রস্তুতি সভা করেছে। কেন্দ্রীয় নেতারা একাধিকবার খুলনায় এসে প্রস্তুতি দেখে গেছেন। প্রতিদিন শহরে প্রচার মিছিল করছেন নেতাকর্মীরা। নগরীজুড়ে দিনরাত চলছে মাইকিং, লাগানো হয়েছে পোস্টার, বিলবোর্ড, প্ল্যাকার্ড। গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে রাতে আলোকসজ্জার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। নগরীর বিভিন্ন সড়কে নির্মাণ করা হয়েছে দুই শতাধিক তোরণ। সার্কিট হাউস মাঠের আবাহনী ক্রীড়াচক্র প্রান্তে তৈরি করা হচ্ছে নিচে নৌকা ও ওপরে পদ্মা সেতুর আদলে ৯০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৪০ ফুট প্রস্থসহ সাড়ে ১৩ ফুট উচ্চতার মঞ্চ। এতে অন্তত ৪০০ জন অতিথি বসতে পারবেন।
মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক জানান, সমাবেশের দিন সার্কিট হাউস মাঠে থাকবেন নারী কর্মীরা। পুরুষ নেতাকর্মীরা থাকবেন মাঠের চারপাশের সড়কগুলোতে। মাঠ ছাড়াও নগরীর কাস্টমস ঘাট থেকে শিববাড়ি মোড়, জেলখানা ঘাট, সদর থানার মোড়, হাদিস পার্ক ও হাজী মুহসীন রোডে মাইক দেওয়া হবে। শিববাড়ি মোড়সহ বেশ কয়েকটি স্থানে এলইডি মনিটরে প্রচার করা হবে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ।
এব্যাপারে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল রানা জানান, জনসভায় খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ১০ লাখ মানুষের সমাগম ঘটানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ওই দিন নগরীর রাজপথে নেতাকর্মীর ঢল নামবে।
কেএমপি কমিশনার মোজাম্মেল হক জানান, প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থল ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। জনসভাস্থলে পুলিশি পোশাকে এবং সাদা পোশাকে প্রশাসন কাজ করবে। নিরাপত্তা জোরদারে সার্কিট হাউস মাঠ ও আশপাশের এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরাও স্থাপন করা হয়েছে। গোটা নগরী নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হবে। জনসভাস্থলে আসা এবং জনসভা শেষে যাতে সাধারণ মানুষ নির্বিঘ্নে ফিরতে পারে সেজন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।