নওগাঁ আদালতে হাজির হয়ে নির্বাচনী আচরনবিধি ভঙ্গের বিষয়ে জবাব দিলেন সরকার দলীয় সংসদ সদস্য শহিদুজ্জামান সরকার। একই সময় জবাব দিতে এসেছিলেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী এ্যাড. তোফাজ্জাল হোসেন। তারা দুজনেই নওগাঁ-২ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।
রবিবার আদালত নির্ধারিত সময় দুপুরে আসেন দুই প্রার্থী। এ সময় আদালতের কাছে নিজ নিজ অভিযোগের বিষয়ে লিখিত জবাবা দেন তারা।
আদালত থেকে বের হয়ে এসব বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হননি নওগাঁ-২ আসনের এমপি শহিদুজ্জামান সরকার।
তবে আদালতে কাছে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানিয়েছেন, “ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশিত হয়ে জানাচ্ছি যে, আমার অতি উৎসাহি কতক নেতা কর্মীরা ব্যানার ও ফেস্টুনসহ আমার অজ্ঞাতে আবেগের বশবর্তী হয়ে জনগনের চলাচলের সাময়িক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে থাকতে পারেন। উক্তরুপ কার্যের কারনে আমি গভীরভাবে মর্মাহত ও নিঃশ্বর্ত ক্ষমা প্রার্থী। ভবিষ্যতে উক্ত কার্য যেনো না হয় সেদিকে আমি শতর্ক দৃষ্টি রাখব।
অন্যদিকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এ্যাড. তোফাজ্জাল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, তার নির্বাচনী এলাকায় বেশ কিছু রঙ্গিন বিলবোর্ডের কারনে তাকে শোকজ করা হয়েছিলো। তবে তিনি লিখিত জবাবে আদালতকে জানিয়েছেন, এসব বিলবোর্ড অনেক আগের। এবং এগুলোতে নিবাচনী কোন প্রচারনা মূলক শব্দ ছিলোনা। তাই শোকজের সন্তোশ জনক ব্যাখ্যা প্রদানের কারনে আদালত তার উপর সন্তোষ্ট হয়ে অভিযোগ থেকে অব্যহতি দিয়েছেন। একই সাথে আগামীতে নির্বাচনী আইনের সকল ধারা কঠোর ভাবে মেনে চলার নির্দেশও দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য যে, গত ৫ ডিসেম্বর নির্বাচনী আচরনবিধি লঙ্ঘনের অপরাধে এই দুই প্রার্থীকে শোকজ করে কারন দর্শানোর নির্দেশ দেন নির্বাচনী অনুষন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান আহসান হাবিব।