ভারত সফরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিকতার বার্তা দিতে ভিন্ন ধরনের আয়োজন করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এবার হায়দরাবাদ হাউজ বা সাউথ ব্লক নয় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বসবেন তার নিজের বাসভবন তে।
আনন্দবাজার পত্রিকার এক খবরে বলা হয়েছে, ’শুক্রবার বিকেলে বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে হায়দরাবাদ হাউস অথবা সাউথ ব্লকে নয়, বঙ্গবন্ধু কন্যার সাথে মোদি আলাপচারিতা করবেন নিজের বাসভবন, ৭ লোককল্যাণ মার্গে।
‘কূটনৈতিক শিবিরের মতে, আন্তরিকতার বার্তা দিতেই এই গৃহঅভ্যর্থনার আয়োজন করা হয়েছে,’ লিখেছে আনন্দবাজার পত্রিকা।
শনিবার সকাল থেকে শুরু হচ্ছে ১৭তম জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন। সেখানে যোগ দিতে শুক্রবার ভারত সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জি-২০ সম্মেলনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ বেশ কিছু রাষ্ট্র এবং সরকারপ্রধান অংশ নেবেন।
জি-২০ গোষ্ঠীর সদস্য না হলেও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শুধু বাংলাদেশকেই ওই সম্মেলনে যোগ দেবার আমন্ত্রণ জানিয়েছে আয়োজক ভারত।
আনন্দবাজার পত্রিকা লিখেছে, ভারত জি২০ গোষ্ঠীর সভাপতিত্ব পাওয়ার পরই মোদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশকেই সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারত, যা এই দুই দেশের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছনোর দৃষ্টান্ত বলেই ধরছে কূটনৈতিক মহল।
পত্রিকাটি আরও লিখেছে, ‘বাংলাদেশে নির্বাচনের মুখে যখন আমেরিকা আওয়ামী লীগ সরকারের উপরে বিভিন্ন ভাবে প্রবল চাপ তৈরি করছে, তখন নয়াদিল্লিতে সফরকারী আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথেও কি বৈঠক হবে হাসিনার? এই প্রশ্নের উত্তর এখনই দিতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট কর্তারা। তবে নৈশভোজে এবং সম্মেলন কক্ষে বাইডেনের সাথে হাসিনার ‘দেখা হয়ে যাবে’ বলেই জানাচ্ছেন তাঁরা।
সম্মেলনে যোগদানে ফাঁকে দক্ষিণ কোরিয়া, আর্জেন্টিনা এবং সৌদি আরবের শীর্ষ নেতাদের সাথে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছে ভারতের ওই সংবাদপত্রটি।
ভারতে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেয়ার আগেই দুই দিনের সফরে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে আসছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।
আর জি-২০ সম্মেলন শেষে রোববার বাংলাদেশ সফরে আসছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।