সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আলোচিত ব্যাক্তি আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। ইউটিউবে ভিডিও নির্মাণের মাধ্যমে আলোচনায় এলেও পরবর্তী সময়ে জাতীয় সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করে নজর কাড়েন হিরু আলম।
সর্বশেষ ঢাকা-১৭ আসনে উপ-নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন তিনি। সেই নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিনে একটি কেন্দ্রের সামনে মারধরের শিকার হয়েছিলেন হিরো আলম। এরপর এই ইউটিউবার বলেছিলেন, তিনি আর কোন নির্বাচনে অংশ নেবেন না। তবে, কয়েকদিন না যেতেই নিজের সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেন হিরো আলম। জানালেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহন করছেন তিনি।
তবে, এবার আর স্বতন্ত্র হিসেবে দাড়াচ্ছেন না। রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হিসেবে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে জানান হিরো আলম। ইতোমধ্যে দেশের শীর্ষ একাধিক রাজনৈতিক দল থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তাব পেয়েছেন বলেও দাবি করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে এসব কথা বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনের আদলে করা ওই ভিডিও পোস্টে হিরো আলম বলেছেন, “আমি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসছি। আপনাদের জন্য একটি সুখবর আছে সেটা হলো আমি যেকোনো একটা দলে যোগদান করছি। আমি চার দল থেকে প্রস্তাব পেয়েছি। দলগুলো হলো- বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি (জাপা) এবং বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি)। এই দলগুলোর মধ্যে থেকে যেকোনো একটি দল থেকে আমি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসছি।”
স্বতন্ত্র থেকে হঠাৎ দলীয় প্রার্থী হতে চাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, “স্বতন্ত্র থেকে ভোটে দাঁড়ায় বলে প্রতিবার আমাকে হয়রানি করে। প্রতিবার কোর্টে গিয়ে প্রার্থীতা ফিরে পাওয়া লাগে। এইসব ঝামেলা যাতে না হয় তার জন্যেই দলের হয়ে ভোট করবো।”
কয়েকদিন আগে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে তুলনা করেছিলেন হিরো আলম। সেই প্রসঙ্গ টেনে তিনি দাবি করেন, সেটি শুধুমাত্র উদাহরণ হিসেবে বলেছিলেন। কারো ওপর রাগের বশবর্তী তিনি কোনো কথা বলেননি।
মানুষের সেবার জন্য তিনি সংসদ সদস্য হতে চান বলেও দাবি করেছেন হিরো আলম।