আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে জাতীয় পার্টির সাথে আলোচনা করা হয়েছে। তারা আলাদাভাবে অংশগ্রহণ করবে। তাদের সাথে কী নিয়ে আলোচনা বা বৈঠক হয়েছে, তা নিয়ে ঢাকঢোল পেটানোর কিছু নাই।
বৃহস্পতিবার (০৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমণ্ডিতে সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, নির্বাচনমুখী যত রাজনৈতিক দল আছে, যাদের সাথে আমাদের জোট ছিল, মানে মহাজোটে ছিল তাদের সাথে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেছি। তাদের সাথে আমাদের সহযোগিতা, আমরা আমাদের সম্পর্কটা আরও জোরদার করার তাগিদ অনুভব করছি। যে কারণে ১৪ দলের সাথে বৈঠক হয়েছে।
এই বৈঠকের মূল বিষয়টি ছিল, নির্বাচনটাকে অবাধ শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু করার জন্য যা করা দরকার তাই করা হবে। যারা নির্বাচনমুখী দল, তাদের নিয়ে সমন্বিতভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে গুপ্তহত্যা, নাশকতা, গুপ্তহামলা প্রতিরোধ করা হবে। নির্বাচন বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে মোকাবিলা করা হবে জানান আওয়ামী লীগের এ নেতা ।ওবাইদুল কাদের আরও বলেন, নির্বাচনমুখী রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সম্পর্ক আরও জোরদার করা হচ্ছে। এজন্য ১৪ দল এবং জাতীয় পার্টির সাথে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু করা নিয়ে মূল আলোচনা হয়েছে। জাতীয় পার্টির সাথে আলোচনা নিয়ে এই নিয়ে ঢাকঢোল পেটানোর কিছু নাই।
জাতীয় পার্টির সাথে আলোচনা করা হচ্ছে। আগে নির্বাচন হয়ে যাক। কে কত সিট পায় দেখা যাক। তারপর বোঝা যাবে, কে বিরোধী দল হবে। শক্তিশালী গণতন্ত্রের জন্য শক্তিশালী বিরোধী দল দরকার। আর শক্তিশালী বিরোধী দল আশা করে আওয়ামী লীগ বলেও জানান তিনি।ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ফোবর্স ম্যাগাজিনে প্রভাবশালী নেতার তালিকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম এসেছেন বলে আমরা গর্বিত।
বিএনপিসহ সমমনাদের ডাকা অবরোধে আজ সকালে সিরাজগঞ্জে মুরগীর বাচ্চাবাহী কাভার্ড ভ্যানটি পোড়ানো হয়েছে। মুরগীর বাচ্চাও তাদের টার্গেট। নাশকতার নতুন নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করছে তারা। ১০টি রেল এবং ৬০০ বেশি যানবাহন হামলা এবং আগুন দিয়েছে। এই নৃশংস রাজনীতি ইসরায়েলের হামলাকে মনে করিয়ে দেয়। বিএনপি-জামায়াত যখন মুরগীর বাচ্চাকে টার্গেট করতে পারে, নির্বাচন বানচালের জন্য আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে তারা। তাই নির্বাচন বিরোধীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মোকাবিলা করতে হবে বলেন ওবায়দুল কাদের।
মার্কিন বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা বাংলাদেশকে নিষেধাজ্ঞা দিবে, তাদের কাছ থেকে আমরা কোনো পণ্য কিনবো না। আন্তর্জাতিক বিশ্বে টানাপোড়েন আছে। বিদেশে আমাদেরও বন্ধু আছে। তারাও আমাদের খোঁজখবর নিচ্ছে।