আসন্ন সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। গোপালগঞ্জ-৩ (কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া) আসনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বিপক্ষে লড়বেন ৪ প্রার্থী।
তাঁরা হলেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ আবুল কালাম, জাকের পার্টির গোপালঞ্জ জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব মোল্লা, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সদস্য এম নিজাম উদ্দিন লস্কর এবং গণফ্রন্টের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা লিমা রহমান।
সোমবার গোপালগঞ্জ-৩ আসনের রিটানিং অফিসার এবং জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া অপর ৪ প্রার্থীকে চিনেন না কোটালীপাড়াবাসী। এমনকি ওই প্রার্থীদের নামও কোনো দিন তাঁরা শোনেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই উপজেলার সবার কাছে পরিচিত। উন্নয়নের রূপকার হিসেবে ভোটাররা তাঁকে পুনরায় দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে পরিচিত এই আসনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সাতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এবার তিনি অষ্টম বারের মতো সংসদ সদস্য হওয়ার জন্য নির্বাচন করছেন। অন্যান্য বারের মতো এবারও শেখ হাসিনা এ আসন থেকে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রী হবেন। তাঁর বিপক্ষে যে চারজন প্রার্থী নির্বাচন করছেন তারা সবাই জামানত হারাবেন।
কোটালীপাড়া উপজেলার পূর্ণবর্তী গ্রামের ওলিউল্লাহ হাওলাদার বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বিপক্ষে যে চারজন প্রার্থী নির্বাচন করবেন বলে শোনা যাচ্ছে। তাদের কোনো দিন এলাকায় দেখিনি। এমনকি তাদের নামও শুনি নাই। কোটালীপাড়ার শতভাগ ভোটই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাবেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই আসন থেকে এ বছর অষ্টম বারের মতো নির্বাচন করছেন।
এর আগে তিনি এই আসন থেকে চারবার দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। বিগত দেন যারা শেখ হাসিনার বিপক্ষে নির্বাচন করেছেন তারা সবাই জামানত হারিয়েছেন। এবারও ওই প্রার্থীরা জামানত হারাবেন।
এই বিষয়ে জাকের পার্টির গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব মোল্লা বলেন, দল থেকে সারা দেশে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ২১৮ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। দলের চেয়ারম্যান মোস্তফা আমির ফয়সালের নির্দেশে গোপালগঞ্জ-৩ আসনে নির্বাচন করছি। নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকতে হবে। কয় ভোট পেলাম সেটি বড় বিষয় নয়। দল যদি মনে করে নির্বাচন থেকে সরে যেতে হবে তাহলে সরে যাবো।