ঢাকা, শনিবার, ১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আওয়ামী লীগ অপরাধটা কী করেছে: শেখ হাসিনা

আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জনগণকে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা হরতাল-অবরোধের নামে আগুন সন্ত্রাস করছে। অগ্নিসংযোগে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা হবে। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সূচনা বক্তব্যে  এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশবাসীকে বলব প্রতিরোধ গড়তে হবে ও তাদেরও সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ওই অগ্নিসন্ত্রাস, দুর্নীতিবাজ, মানি লন্ডারিং, বোমা হামলাকারী, গ্রেনেড হামলাকারী, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি, দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার চোরাকারবারি, এতিমের অর্থ আত্মসাৎকারী তাদের কেউ পছন্দ, নাকি আওয়ামী লীগ যে মানুষের কল্যাণে কাজ করে সেটা পছন্দ। সেটা দেশবাসী সিদ্ধান্ত নেবে, সেটিই আমরা চাই।

চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনের ডানপন্থী এবং বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণের প্রতি ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশে একটা অদ্ভুত জিনিস দেখলাম, নীতি-আদর্শ, আমি জানি না আদর্শ-নীতি গুলিয়ে গেল কেন? আমরা দেখি চরম বামপন্থীরা ডানপন্থীদের সঙ্গে এক হয়ে গেল। চরমপন্থী ডানপন্থী জামায়াতে ইসলামী থেকে শুরু করে বামপন্থী কমিউনিস্ট, এত দিন যারা আদর্শের কথা বলছে তারা সব একই সাথে, একই সুরে, একই কথা বলে কিভাবে? তারা এক হয়ে মিলে গেল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগ অপরাধটা কী করেছে সেটা জানতে চাই। দেশবাসীর কাছে প্রশ্ন, আওয়ামী লীগের অপরাধ কী?’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের বলে পদত্যাগ করতে, আমরা কেন পদত্যাগ করব? আমরা কি তাদের মতো মানুষ পুড়িয়ে মেরেছি? আমরাও তো আন্দোলন করেছিলাম।

কই আমরা তো তাদের মতো বাসে আগুন দিইনি, মানুষকে পুড়িয়ে উল্লাস করে আন্দোলন করিনি। আমাদের আন্দোলনের একটি গণতান্ত্রিক ধারা ছিল। সেই আন্দোলনের মাধ্যমেই আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছি। আজকে দেশকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। সেই অগ্রযাত্রা যখন শুরু সেটা ব্যাহত করার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে।

>>>  পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ, ছাত্রদল নেতা আটক

তিনি আরো বলেন, ‘আমি এটুকুই বলতে চাই, দেশের মানুষ যখন শান্তিতে তখন এই বিএনপি আবার রাস্তায় নেমেছে অগ্নিসন্ত্রাস নিয়ে। অশান্তি সৃষ্টি করতে। এই অশান্তির হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে হবে। দেশের মানুষকে বাঁচাতে হবে। এটিই বড় কথা। আর সামনে নির্বাচন। এটা জনগণের অধিকার। গণতান্ত্রিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার; এই অধিকার জনগণের অধিকার সুরক্ষা দেওয়া এবং সুষ্ঠুভাবে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন করা―এটিই আমাদের লক্ষ্য।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

সর্বশেষ

এই বিভাগের সর্বশেষ

সর্বশেষ :