ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

অবরোধে নাশকতা রোধ করতে ডিএমপির ১০ নির্দেশনা

রবিবার ভোর ৬টা থেকে শুরু হচ্ছে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা চতুর্থ দফার অবরোধ কর্মসূচি। আগামী মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত চলবে এই অবরোধ।

এ অবরোধ কর্মসূচিতে গত ১৩ দিনে (২৮ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত) রাজধানীতে ৬৪টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং ভাঙচুর করা হয়েছে। দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে একজন বাসের সহকারী ঘুমন্ত অবস্থায় পুড়ে মারা গেছেন।

এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

ইতোমধ্যে অবরোধ-হরতালে পরিবহন বা স্থাপনা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগকারীদের উপযুক্ত প্রমাণসহ ধরিয়ে দিলে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা দিয়েছে পুলিশ ।

অবরোধ ও হরতালের নামে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণ, পেট্রলবোমা নিক্ষেপের মাধ্যমে নাশকতা করার চেষ্টা চলছে।

এমন পরিস্থিতিতে কেউ যেন পেট্রল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে অগ্নিসংযোগ করাকে বেছে নিতে না পারে এবং পেট্রল পাম্প থেকে পেট্রল/জ্বালানি তেল সংগ্রহ করে কোনো ধরনের নাশকতা করতে না পারে সে লক্ষ্যে নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

শনিবার (১০ নভেম্বর) ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ১০টি নির্দেশনা দেওয়া হয়। 
নির্দেশনাগুলো হলো―

১। পেট্রল পাম্প ও সিএনজি স্টেশন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ সব ধরনের নাশকতা রোধকল্পে পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও নজরদারি বৃদ্ধি করবেন।

২। সহকারী পুলিশ কমিশনার এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি) নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে অবস্থিত পেট্রল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করে সার্বিক নিরাপত্তা তদারকি করবেন এবং কার্যকর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন।

৩। প্রত্যেক অপরাধ বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার ও থানার ওসি নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে পেট্রল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনগুলোর মালিকদের সঙ্গে সমন্বয় করে ব্যবস্থা নিশ্চিত করবেন।

৪।

নিজ নিজ পেট্রল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে নিজস্ব জনবলের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক (২৪/৭) নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

৫। প্রত্যেক পেট্রল পাম্প ও সিএনজি স্টেশন এলাকা রাত্রিকালীন ছবি ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ও ডিভিআরসহ সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা এবং ডিভিআর নিরাপদ স্থানে স্থাপন।

>>>  রাজশাহী-৫ আসনে জাপা প্রার্থীর বাড়িতে পেট্রোল বোমা হামলা

৬। সংশ্লিষ্ট থানার ডিউটি অফিসার, ইন্সপেক্টর (তদন্ত/ অপারেশনস), ওসি, ফায়ার সার্ভিস ও জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন নম্বর দৃশ্যমান স্থানে ঝুলিয়ে রাখবেন।

৭। পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম রাখা এবং মহড়া করে সরঞ্জামাদির কার্যকারিতা যাচাই করবেন।

৮। রিজার্ভারে তেল লোডের সময় নিজস্ব জনবল দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ওই সময়ে সব ধরনের যানবাহন পেট্রল পাম্পে প্রবেশ করতে না দেওয়া।

৯। লুজ/খোলা জ্বালানি তেল বিক্রি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখা তবে বাড়ি/ফ্যাক্টরি/প্রতিষ্ঠানের জেনারেটর চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি তেল সংশ্লিষ্ট থানার ওসির কাছ থেকে নিরাপত্তা ছাড়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে বিক্রি করা এবং পেট্রল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে রক্ষিত রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করা।

১০। পেট্রোলিয়াম বিধিমালা ২০১৮-এর লাইসেন্সের শর্তাবলি যথাযথভাবে প্রতিপালন করার পাশাপাশি যেকোনো প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করার জন্য বলা হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

সর্বশেষ

এই বিভাগের সর্বশেষ

সর্বশেষ :