ইন্দোনেশিয়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পণ্যের বাজার সহজ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। গতকাল সোমবার জাকার্তায় ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদির সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এই আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ (৫ সেপ্টেম্বর) মঙ্গলবার জানায়, বৈঠকে দুদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ তিন বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। তিনি বাংলাদেশের আমদানি এবং রপ্তানির পরিমাণের মধ্যে ভারসাম্যহীনতার বিষয়টি উল্লেখ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইন্দোনেশিয়ার বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি প্রসারের মাধ্যমেই এই ব্যবধান কমানো যেতে পারে। বিশেষ করে যেসব পণ্যে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা রয়েছে।
বৈঠকে আসিয়ান অঞ্চলে ইন্দোনেশিয়াকে বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে মোমেন বলেন, দুদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ আরও বাড়ানোর প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। দুদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি শিগগিরই চূড়ান্ত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাণিজ্য এবং বিনিয়োগে সহযোগিতা, আন্তর্জাতিক ফোরামে দুদেশের মধ্যে সহযোগিতা, আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রচেষ্টা এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ইস্যুসহ দুদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারসুদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন। বাংলাদেশ এবং ইন্দোনেশিয়ার সাংস্কৃতিক সাদৃশ্য ও জনগণের মধ্যে একটি ঐতিহাসিক বন্ধন রয়েছে উল্লেখ করে তিনি আমাদের দুই মহান জাতির মধ্যে একটি শক্তিশালী, আরো প্রাণবন্ত সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য সহযোগিতা এবং অংশীদারিত্বের নতুন উপায় অন্বেষণের ওপর জোর দেন। বৈঠকে দুই মন্ত্রী জ্বালানি খাতে দুদেশের মধ্যে সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন।
ড. মোমেন বাংলাদেশের পক্ষে কৃষি সহযোগিতায় একটি দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা স্মারকেও স্বাক্ষর করেন।
ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি জোকো উইদোদোর আমন্ত্রণে ৪৩তম আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলন এবং ১৮তম পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন এখন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে জাকার্তা সফরে করছেন।