স্লোগান প্রতিনিধি, জবি
জবি শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় তাঁর সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকি আম্মান ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম কে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। আজ (শনিবার) রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। দৈনিক স্লোগান কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ প্রশাসন।
অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় কুমিল্লা’র কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা হয়েছে। উক্ত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন যে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী অবন্তিকাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে তাঁর মা তাহমিনা বেগম মামলা করেছেন। উক্ত মামলায় রায়হান সিদ্দিকি আম্মান ও দ্বীন ইসলামকে আসামি করা হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, ফাইরুজ অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকি আম্মান ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম পুলিশী হেফাজতে আছে এবং যত দ্রুত সম্ভব তাঁদের কুমিল্লা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
অন্যদিকে আজ (শনিবার) দুপুরের দিকে শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বাদী হয়ে মামলা করতে ও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের নিমিত্তে ১২ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন শিক্ষার্থীরা।
(বা’দিক থেকে) রায়হান সিদ্দিকী আম্মান ও দ্বীন ইসলাম
জবি শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় তাঁর সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকি আম্মান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ (শনিবার) রাতে তাঁদের আটক করা হয়। দৈনিক স্লোগান কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ প্রশাসন।
এদিকে অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় কুমিল্লায় কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন, অবন্তিকাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে তাঁর মা তাহমিনা বেগম মামলা করেছেন। মামলায় রায়হান সিদ্দিকি আম্মান ও দ্বীন ইসলামকে আসামি করা হয়েছে।
আত্মহত্যা বিষয়ে প্রতিরোধ মূলক বার্তা দিয়ে নিজেই বেছে নিলেন সে পথ। জানা যায়, সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম পুলিশের হেফাজতে আছেন। অবন্তিকার মা বলেন, ‘এক বছরের মধ্যে স্বামী ও মেয়ে চলে গেল’।
ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা ছিলেন জবি, আইন বিভাগের ১৩তম আবর্তনের শিক্ষার্থী। গতকাল (শুক্রবার) রাত ১০টার দিকে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে কুমিল্লা শহরে নিজেদের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন তিনি।
ফাইরুজের কতিপয় বন্ধু জানিয়েছেন, তিনি ফেসবুক পোস্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সহপাঠীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানিসহ নানা ধরনের নিপীড়নের অভিযোগ করে গেছেন। ওই পোস্টে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে, ছেলেটির পক্ষ নিয়ে তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণের অভিযোগও করেছেন তিনি। সেখানেই আত্মহত্যার কথা বলেন অবন্তিকা।