দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দ্রুত অবনতি ঘটতে থাকায় ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে নাইজার ছাড়তে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে অভ্যুত্থানের নেতারা। জান্তা বলছে, ফরাসি দূত সিলভাইন ইত্তে নাইজারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দেখা করার আমন্ত্রণে সাড়া দেননি। এই ধরনের বহিষ্কারের আদেশ দেওয়ার এখতিয়ার ক্ষমতা দখলকারীদের নেই বলে প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে ফ্রান্স। সাবেক এই ঔপনিবেশিক শক্তির ব্যাপক সখ্য ছিল নাইজারের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমের সাথে।
জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের বিরোধিতা করে প্যারিস বলেছে, ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে অবশ্যই তার পদ ফিরিয়ে দিতে হবে।
ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, দখলদারদের এমনটা করার ক্ষমতা নেই। এই ধরনের আদেশ কেবল বৈধ নির্বাচিত সরকার দিতে পারে।
নাইজারের অভ্যুত্থান নেতা জেনারেল আবদুরাহামানে চিয়ানি গত সপ্তাহে পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিকে তিন বছরের মধ্যে বেসামরিক শাসনে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। রাজধানী নিয়ামেতে পশ্চিম আফ্রিকার আঞ্চলিক ব্লক ইকোওয়াসের মধ্যস্থতাকারীদের সাথে বৈঠকের পর তিনি এউ ঘোষণা দিয়েছেন।
গত মাসেই ইকোওয়াস হুমকি দিয়েছে, আলোচনা ব্যর্থ হলে প্রেসিডেন্ট বাজুমকে ক্ষমতায় ফেরাতে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
যদিও জান্তা প্রধান বলছেন, নাইজার কোন যুদ্ধ চায় না। তবে বিদেশি হস্তক্ষেপ এলে তারা চুপ থাকবে না।
তিনি বলেন, ‘যদি আমাদের ওপর হামলা হয়, তবে হাত গুটিয়ে বসে থাকবো না।’
এই সময় জেনারেল তচিয়ানি ভূমিবেষ্টিত দরিদ্র দেশটির ওপর ইকোওয়াসের আরোপিত ‘অবৈধ ও অমানবিক’ নিষেধাজ্ঞার সমালোচনার পুনরাবৃত্তি করেন।
এদিকে রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাবে নাকাল নাইজারবাসী। রাজধানী নিয়ামিসহ গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলো দেখা দিয়েছে ব্ল্যাকআউট। গুরুত্বপূর্ণ আমদানি বন্ধ হয়ে আছে। সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় দাম বাড়ছে খাদ্যের।
রবিবার আলোচনার পর ইকোওয়াস তিন বছরের সময়সীমা প্রত্যাখ্যান করেছে। ব্লকের রাজনৈতিক বিষয়, শান্তি এবং নিরাপত্তা বিষয়ক কমিশনার আবদেল-ফাতাউ মুসাহ বলেছেন, ইকোওয়াস এই অঞ্চলে আর কোনও দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্তন মেনে নেবে না। তাদের অল্প সময়ের মধ্যে ক্ষমতা হস্তান্তর করার জন্য প্রস্তুত হতে হবে।
তিনি বলেন, ‘সেনারা প্রস্তুত আছে।’
সূত্র: বিবিসি