ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম অঞ্চলে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পর উদ্ধারকারীরা ১১ জন পর্বতরোহীকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজদের খোঁজে অনুসন্ধান দলগুলো রাতভর অনুসন্ধান চালায়।‘মাউন্ট মারাপি’ ইন্দোনেশিয়ার ১২৭টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরির মধ্যে একটি।
রবিবার অগ্ন্যুৎপাতের কারণে বাতাসে ৩ কিমি (নয় হাজার ৮০০ ফুট) পর্যন্ত ছাই ছড়িয়ে পড়ে।
কর্তৃপক্ষ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে সেইসাথে সেখানকার বাসিন্দাদের আগ্নেয়গিরির ৩ কিলোমিটারের মধ্যে যেতে নিষেধ করেছে।
আরো তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলে কর্মকর্তারা সোমবার জানিয়েছেন। আবার একটি ছোট অগ্ন্যুৎপাতে কারণে নিখোঁজ আরো ১২ জনের খোঁজ স্থগিত করা হয়েছে। বিস্ফোরণের সময় ওই এলাকায় ৭৫ জন পর্বত আরোহী ছিল কিন্তু বেশিরভাগকে তখন নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
আজ সোমবার ৪৯ জন পর্বতারোহীকে এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল, যাদের মধ্যে অনেকেই দগ্ধ হয়েছিলেন। পাদাং সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এজেন্সির প্রধান আব্দুল মালিক বলেছেন, ‘উদ্ধার করা তিনজনকে আগ্নেয়গিরির গর্তের কাছে পাওয়া গেছে। তারা শারীরিকভাবে দুর্বল এবং শরীরের কিছু অংশ পুড়ে গেছে।’
রবিবার ইন্দোনেশিয়ার দুই হাজার ৮৯১ (৯ হাজার ৪৮৪ ফুট) মিটারের সুমাত্রা দ্বীপের মাউন্ট মারাপির চূড়ায় অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়।
অগ্ন্যুৎপাতের একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, আগ্নেয়গিরির ছাইয়ের বিশাল মেঘ আকাশ জুড়ে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। আশেপাশের অঞ্চল,যানবাহন এবং রাস্তাগুলো ছাই দিয়ে ঢেকে গেছে। উদ্ধারকর্মীরা পালাক্রমে মৃত এবং আহতদের উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পশ্চিম সুমাত্রা দুর্যোগ প্রশমন এজেন্সির প্রধান রুডি রিনাল্ডি বলেন, ‘চারপাশ অত্যন্ত উত্তপ্ত হওয়ায় কারণে কয়েকজন পুড়ে গেছে এবং তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’ স্থানীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দলের মুখপাত্র জোডি হরিয়াওয়ান সাংবাদিকদের বলেছেন, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের সময় অনুসন্ধান চালিয়ে যাওয়াখুব বিপজ্জনক।
মাউন্ট মারাপি ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিমতম সুমাত্রা দ্বীপে অবস্থিত। ইন্দোনেশিয়ান দ্বীপপুঞ্জ তথাকথিত প্যাসিফিক রিং অফ ফায়ারে অবস্থিত। যেখানে মহাদেশীয় প্লেটের সংযোগস্থল এবং এর কারণে আগ্নেয়গিরি অগ্ন্যুৎপাত এবং ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটে।
সূত্র: বিবিসি