ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের বন্ধু সাজেদুল হোসেন দিপু চৌধুরী। তিনি শুধু শাকিব খানের বন্ধুই নন একই সাথে তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার বড় ছেলে। গত শনিবার (০২ ডিসেম্বর) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তিনি।
বন্ধুর অকাল মৃত্যুর শোকে কাতর শাকিব। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক আবেগঘন পোস্টে জানালেন এই চিত্রনায়ক।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) শাকিব খান তার ভেরিফাইড ফেইসবুক পেজে লিখেছেন, ‘আমার বন্ধু দিপু… কোন শব্দে তোকে নিয়ে লিখব, কোন ভাষায় তোর পরিবারকে সান্ত্বনা জানাব ভেবে পাচ্ছি না। একদিন আমাদের সবাইকে পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে এটাই নির্মম সত্য। কিন্তু তুই এত তাড়াতাড়ি চলে যাবি সেটা আমার চিন্তার ঊর্ধ্বে ছিল।’
প্রয়াত বন্ধুর অকাল মৃত্যুতে শোকাভিভূত হয়ে তিনি আরও লিখেন, ‘এইতো কিছুদিন আগে তোর অফিসে নিয়ে গেলি, তোর সন্তানের এনিমেটেড সিনেমার কাজ দেখালি; আগামীতে কত কী করতে চাস সেইসব স্বপ্নের কথাগুলো বললি। সেই তুই হঠাৎ করে সবাইকে চিরদিনের জন্য ছেড়ে চলে গেলি! তুই নেই সেটা মানতে এখনো আমার কষ্ট হচ্ছে।’
‘আমি যেখানে থাকতাম কিছুদিন পর পর ফোন করে খবর নিতি। কেমন আছি, কবে আসব, কবে দেখা হবে- কত কিছু জানতে চাইতি। সেই তোকে যখন মর্গে গিয়ে দেখছিলাম, মনে হচ্ছিল একটু পরেই উঠে দোস্ত বলে ডাক দিবি। যেমনটা দেখা হলেই তোর বন্ধুত্ব আর ভ্রাতৃত্বের পরম ভালোবাসা আমি অনুভব করতাম।’ যোগ করেন শাকিব।
অকালে বন্ধুকে হারিয়ে শূন্যতা অনুভব করছেন ঢালিউড কিং খান। তিনি লিখেন, ‘বন্ধু দিপুকে হারানোর শূন্যতা শাকিব খানের জীবনে কখনো পূরণ হবে না। যে বনানীর রাস্তা দিয়ে আমরা বহুবার একসঙ্গে যাতায়াত করেছি, সেখানে তোকে চিরদিনের জন্য সমাহিত করা হয়েছে। দূর থেকে শুধু তোর নিথর দেহকে দেখেছিলাম। তোর চলে যাওয়ায় আমি যে স্বজন হারানোর শূন্যতা অনুভব করছি সেটা বলে বোঝানোর উপায় নেই। বন্ধু হিসেবে তোর ভালোবাসার শূন্যতা আমার জীবনে কখনো পূরণ হবে না। কারণ তুই যে কত বড় মনের অধিকারী এবং ভালো মানুষ ছিলি সেটা তোর শেষ বিদায়ে মানুষের ঢলই বলে দেয়। যতদিন বেঁচে থাকব তোকে খুব মিস করব রে দীপু।’
সর্বশেষ দীপু চৌধুরীর বিদেহী আত্মার শান্তি ও দোয়া কামনাও করেন শাকিব খান।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন সাজেদুল হোসেন চৌধুরী (দীপু)। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য গত ১৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। যদিও আওয়ামী লীগ থেকে দীপু মনোনয়ন পাননি। তার বাবা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া মনোনয়ন পেয়েছেন।