অভিনেত্রী হুমায়রা হিমু মারা গেছেন। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) রাজধানীর উত্তরার আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আহসান হাবিব নাসিম বলেন, “হিমুকে উত্তরার একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হিমুর মোবাইল ফোনসহ তার প্রেমিক এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।”
এদিকে হুমায়রা হিমুর মৃত্যু নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা রহস্য। কেউ বলছেন আত্মহত্যা, কেউ বলছেন হত্যা। কিন্তু প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
নাটকের নিয়মিত অভিনেত্রী হুমায়রা হিমু “আমার বন্ধু রাশেদ” চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিনয়ে অভিষিক্ত হন। চলচ্চিত্রের গল্পটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের উপর ভিত্তি করে তৈরি। এরপর অসংখ্য টিভি নাটকে দেখা গেছে হিমুকে। এর মধ্যে ডিবি, সোনাঘাট, চেয়ারম্যান বাড়ি, বাটিঘর, শোনে না সে শোনে না অন্যতম।
হোমায়রা হিমু ১৯৮৫ সালের ২৩ নভেম্বর লক্ষ্মীপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। লক্ষ্মীপুরে ছোটবেলা কেটেছে হোমায়রা হিমুর। ক্লাস টুতে পড়ার সময় থেকেই কাজ করতেন মঞ্চে। বেসরকারি টিভি চ্যানেল দেশ টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হিমু নিজেই বলেছিলেন, ছোটবেলা থেকেই স্থানীয় হাইফাই কৌতুক শিল্পগোষ্ঠী ও ফ্রেন্ডস নাট্যগোষ্ঠীর সঙ্গে কাজ করতেন তিনি।
১৯৯৯ সালে এসএসসি পরীক্ষার পর ঢাকায় আসেন হিমু। প্রথমে ভর্তি হন নাগরিক নাট্যাঙ্গনে। এরপর কাজ করেন আরও কয়েকটি নাটকের দলে।