রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক বলেন, বাংলাদেশ আর ভারত একই সুতোয় গাঁথা মালা। বাংলাদেশ-ভারত দুর্দিনের বন্ধু। ভারত-বাংলাদেশের এ বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার নয়। সব ক্লান্তি লগ্নে ভারতের এগিয়ে আসা আমাদের দেশের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।
রোববার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কাশিনগরে ভারত সরকারের অর্থায়নে নিমির্ত কাশিনগর ডিগি কলেজের নতুন ভবন নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেলমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বক্তারা বলেন ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত বাংলাদেশের প্রায় দুই কোটি সহায়সম্বলহীন শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে, মুক্তিযোদ্ধাদের সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেছে এবং বঙ্গবন্ধুর মুক্তির জন্য আন্তর্জাতিক জনমত সংগঠিত করেছে। বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর প্রায় ১৭ হাজার সদস্য শহীদ হয়েছেন। অন্য কোন দেশকে স্বাধীন করার জন্য এ ধরনের আত্মত্যাগের দৃষ্টান্ত বিশ্বের ইতিহাসে বিরল। বাংলাদেশকে ভারতের কূটনৈতিক স্বীকৃতির অন্যতম কারণ ছিল ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্রের প্রতি দুই দেশের অঙ্গীকার। রক্তের বন্ধনে রচিত এই বন্ধুত্ব শত প্রতিকূলতার ভেতরও অটুট রয়েছে’। বন্ধুত্বের এই বন্ধন কোনদিনও ছিন্ন হবার নয়।
মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানের দিবস ৬ ডিসেম্বরকে স্মরণীয় করে রাখতে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয় সচেতন নাগরিক কমিটি।
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এই আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। সংগঠনের আহবায়ক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাবেক রাষ্ট্রদূত ড, নিম চন্দ্র ভৌমিকের সভাপতিত্ব আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক , ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন – ডিইউজের সহ সভাপতি মানিক লাল ঘোষ, জাতীয় সচেতন নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ –ভারত সম্প্রীতি পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড ফজলে এলাহী,,মহাসচিব মমতাজ হোসেন চৌধুরী, জাতীয় গনতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল প্রমুখ। বাংলাদেশ – ভারত মৈত্রী দিবসের এই আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন জাতীয় সচেতন নাগরিক কমিটির প্রচার সম্পাদক অভিজিৎ বনিক।