দেশের ফুটবলের দুর্দিনে ১৪ বছর পর সাফের সেমিফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ পুরুষ দল। যদিও ম্যাচটিতে দুর্দান্ত লড়াই করেও শক্তিশালী কুয়েতের কাছে তারা হেরে যায় বাংলার যুবারা। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, দল সাফের সেমিফাইনালে উঠলে ৫০ লাখ টাকা দেওয়া হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সেই কথাই  রাখলেন তিনি।

আজ (৯ জুলাই) রবিবার মতিঝিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ভবনে ফুটবলারদের হাতে টাকা তুলে দিয়েছেন সালাউদ্দিন।

সাফে খেলা ফুটবলারদের প্রত্যেককে দেড় লাখ টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দুইজন ফুটবলারকে ব্যক্তিগতভাবে ১ লাখ টাকা করে পুরস্কৃত করেন সালাউদ্দিন। তারা হলেন- গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো এবং তরুণ ফুটবলার শেখ মোরছালিন।

তারকা রাইটব্যাক বিশ্বনাথ ঘোষকেও কাজী সালাউদ্দিন ব্যক্তিগতভাবে ৫ লাখ টাকা পুরস্কার দেন। কারণ সাফের ফাইনালে উঠতে পারলে বিশ্বনাথ নিজে গোটা দলকে ৫ লাখ টাকা উপহার দিতে চেয়েছিলেন। এই উদার মনের জন্যই তাকে পুরস্কৃত করলেন সালাউদ্দিন।

বাফুফে সভাপতি বলেন, ‌‘আমার তেমন সামর্থ্য নেই।

তাই খুব সামান্য অর্থ দিচ্ছি। তোমরা অবশ্যই এর চেয়ে বেশি পাওয়ার যোগ্য। আমার সামর্থ্য থাকলে অবশ্যই আমি বেশি দিতাম। জিকো আমাদের গর্বিত করেছে। লেফট ব্যাক ইসা ফয়সাল খুব ভালো খেলেছে।

তপু, তারিক কাজীও ভালো খেলেছে। সিনিয়র সোহেল রানা, আবাহনীর সোহেল রানা। ফাহিম, হৃদয়, মোরছালিনরা নজর কেড়ছে। আমি ওদের পারফরম্যান্সে খুবই সন্তুষ্ট। রাকিব বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ফরোয়ার্ড। সে নিজেকে পরিচর্যা করলে দেশের সর্বকালের সেরা ফরোয়ার্ড হতে পারবে। আমি কিছুদিন আগে বলেছিলাম এই দল বাংলাদেশের সেরা দল। এটা নিয়ে অনেকে আমাকে কটূক্তি করেছে। তবু বলব, এই দলই এখন দেশের সেরা।’

বিশ্বনাথ ঘোষকে ৫ লাখ টাকা দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ওর কথাটা স্পিরিটের অংশ। এই রকম খেলোয়াড়ই আমার দরকার। তাকেও আমার পক্ষ থেকে সামান্য অর্থ পুরস্কার।’ কাজী সালাউদ্দিন ফুটবলারদের উদ্দেশ্য বলেন, ‘এই টুর্নামেন্টে তোমরা দারুণ খেলেছ। আমি খুবই খুশি তোমাদের ওপর। আমরা মানসম্পন্ন ফুটবল যে খেলতে পারি, সেটা দেখাতে পেরেছি। দুটি ম্যাচ আমরা হেরেছি। তবে  আমরা ভালো খেলেছি। দল যাওয়ার আগে অনেকে অনেক কথা বলেছিল। তবে আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম, যখন আমার বাসায় কোচসহ জামাল-তপুরা এসেছিল। আমি তাদের বলেছিলাম, ম্যাচের আগেই হেরো না। ওরা আমাকে কথা দিয়েছিল। ও সে রকমই খেলেছে।’