
সম্মাননা পেয়ে আপ্লুত মেসি বললেন, তার জীবনের প্রাপ্তিগুলো ছাড়িয়ে গেছে স্বপ্নকেও।
পাশাপাশি দুই লিওনেল মেসি। মুখে হাসি, হাতেও বিশ্বকাপ ট্রফি। মেসির তো আর জমজ নেই! সত্যি কারের মেসির পাশে ওখানে আসলে মেসির প্রতিমূর্তি। দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল ফেডারেশনের (কনমেবল) সদরদপ্তরে এভাবেই দেখা গেল বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনার এই ফুটবল জাদুকরকে।
প্যারাগুলের লুকে শহরে সোমবার (২৭ মার্চ) কনমেবলের সদর দপ্তরে উন্মোচিত হয়েছে বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে মেসির ভাস্কর্য। কোপা লিবার্তাদোরেসের ড্র অনুষ্ঠানের আগে এই দিনে ছিল এই আয়োজন। কনমেবলের সদর দপ্তরে জাদুঘরে আরও দুই কিংবদন্তি পেলে ও দিয়েগো মারাদোনার পাশেই থাকবে মেসির ওই ভাস্কর্য।
একটা সময় ছিল, যখন ফুটবল বিশ্বে প্রশ্ন উঠত, পেলে-মারাদোনার পাশে কে? সেই প্রশ্নের উত্তরে মেসির আনাগোণা চলছিল অনেক দিন ধরেই। সংশয় যা কিছু ছিল, তা হয়তো মেসি ঘুচিয়ে দিয়েছেন ৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ে অসাধারণ পারফর্ম করে ও সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে। এখন পেলে-মারাদোনার পাশাপাশি তার নাম উচ্চারিত হয় তো বটেই, অনেকের কাছে তিনিই সবাইকে ছাড়িয়ে সর্বকালের সেরা। কনমেবলের এই উদ্যোগকেও বলা যায় মেসির অর্জনের একটা স্বীকৃতি।
ভাস্কর্য উন্মোচনের আয়োজনে থেকে আপ্লুত মেসি ফিরে তাকালেন তার গোটা ক্যারিয়ারে। ৩৫ বছর বয়সী মহাতারকা বললেন, জীবন তাকে ভরিয়ে দিয়েছে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি প্রাপ্তিতে।
আমি কখনোই এমন কিছুর স্বপ্ন দেখিনি বা ভাবতে পারিনি। আমার স্বপ্ন ছিল পছন্দের কাজটি (ফুটবল খেলা) স্রেফ উপভোগ করা এবং যখন ছোট ছিলাম, চাওয়া ছিল পেশাদার ফুটবলার হওয়া, জীবনে যেটিকে ভালোবেসেছি, সেটিকেই আমার পেশা হিসেবে নেওয়া।”
অনেক লম্বা পথ পাড়ি দিতে হয়েছে আমাকে। সেই পথে অনেক মোড় এসেছে, পরাজয় এসেছে। তবে আমি সবসময় সামনে তাকিয়েছি এবং সাফল্য অর্জন করতে চেয়েছি, বিজয় অর্জন চেয়েছি। আমার মনে হয়, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার এটিই, স্বপ্নকে তাড়া করা, সবকিছুকে সম্ভব করতে লড়াই করা এবং খেলা উপভোগ করা, যেটি হচ্ছে সবচেয়ে সুন্দর।”
মেসির সতীর্থরা ও কোচ লিওনেল স্কালোনিও ছিলেন উপস্থিত সেখানে। তাদের সবাইকে উপহার দেওয়া হয় বিশ্বকাপ ট্রফি এবং ২০২১ সালের কোপা আমেরিকা জয়ের ট্রফির ক্ষুদ্রাকৃতির স্মারক।
বিশ্বকাপের পর আর্জেন্টিনার প্রথম ম্যাচেই গত বৃহস্পতিবার পানামার বিপক্ষে দুর্দান্ত এক গোল করে মেসির ক্যারিয়ার গোলসংখ্যা হয়েছে ৮০০ টি। মঙ্গলবার কুরাসাওয়ের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে আরও একটি অবিস্মরণীয় মাইলফলক তার অপেক্ষায়। আর্জেন্টিনার প্রথম ফুটবলার হিসেবে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ১০০ গোল করতে প্রয়োজন তার প্রয়জন আর একটি গোল।
প্রকাশক: মনসুর মো. এন হাসান
সম্পাদক: মো. আশরাফুল ইসলাম
প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী-সম্পাদক: আনোয়ার সজীব