
ফাইনালের ম্যাচ নাটকীয় ভাবে গড়াল টাইব্রেকারে। সেখানে প্রথম তিন শটের দুটিতে গোল করতে ব্যর্থ হয় ফ্রান্স। আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসি, পাওলো দিবালা ও লিয়ান্দ্রো পারেদেস গোল করলেন। চতুর্থ শটে গোলের দেখা পেলেন ফ্রান্সের কোলো মুয়ানি ।
তাতে কী, আর্জেন্টিনার চতুর্থ শটটি নিতে যাওয়া গঞ্জালো মনতিয়েল ব্যর্থ না হলেই খেলা শেষ, নিশ্চিত হেরে যাবে ফ্রান্স। মনতিয়েল ভুল করলেন না, গোল পেলেন। সঙ্গে সঙ্গেই বিশ্বজয়ের আনন্দে মেতে ওঠেন লিওনেল মেসিসহ আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়েরা। বিশ্ব যেন আনন্দের বাজনার তালে তালে নেচে উঠল।

মেসিদের সেই উচ্ছ্বাসের ঢেউ তখন লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে মুখরিত।
কাতার থেকে উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ল বিশ্বের নানা প্রান্তে। আর্জেন্টিনার উন্মত্ত উদ্যাপন কিছুক্ষণের জন্য থেমে গেল পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের জন্য। পুরস্কারমঞ্চে সবার শেষে যখন বিশ্বকাপের ট্রফি আর্জেন্টিনা অধিনায়ক মেসির হাতে তুলে দেওয়া হলো, আবার শুরু হয়ে গেল উদ্যাপন।
পুরস্কারমঞ্চের উদ্যাপন একটু পরই ছড়িয়ে পড়ল লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামের নানা প্রান্তে। সেখানে যোগ দিলেন খেলোয়াড়দের পরিবারের সদস্যরা। মেসি প্রথমে জড়িয়ে ধরলেন মাঠে ছুটে আসা তাঁর মাকে। এরপর স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জোসহ তিন ছেলেকে চোখে আনন্দাশ্রু নিয়ে জড়িয়ে ধরলেন ।

মেসি এরপর পরিবারের সব সদস্যকে নিয়ে ছবি আর সেলফি তুললেন। সঙ্গে তো বিশ্বকাপের ট্রফি ছিলই। একটা সময়ে বড় ছেলে থিয়াগোর গলায় পরিয়ে দিলেন সোনার পদক।
মেসির কোলে উঠে ছোট ছেলে সিরো হাতে নেয় সেরা খেলোয়াড়ের স্মারক গোল্ডেন বল। পরে সেটা হাত বদলে কিছুক্ষণের জন্য ছিল মেজ ছেলে মাতেওর হাতেও। এভাবে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মেসির উদ্যাপন চলে অনেকক্ষণ।
প্রকাশক: মনসুর মো. এন হাসান
সম্পাদক: মো. আশরাফুল ইসলাম
প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী-সম্পাদক: আনোয়ার সজীব