ঢাকা, সোমবার, ১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

নির্বাচনের পরেই হবে বিপিএল; বাড়তে পারে দল

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দশম আসর হবে কি হবে না- এই নিয়ে অনেকদিন ধরেই চলছিল জল্পনা- কল্পনা । কারণ এই বছরের শেষেই যে আছে জাতীয় নির্বাচন। এরপর জাতীয় দলের ব্যস্ত শিডিউল তো আছেই। তাই বিপিএল অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে শংকা প্রকাশ করছেন অনেকেই।

তবে বিপিএল নিয়ে ইতিবাচক কথাই শোনালেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক। ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে তারা বিপিএল শুরু করার আশা করছেন।

আজ(২৪জুন) শনিবার মিরপুর শেরে বাংলায় ইসমাইল হায়দার মল্লিক সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই বছর আমাদের জাতীয় নির্বাচন আছে। নির্বাচনের চূড়ান্ত তারিখ এখনো ঘোষণা করা হয়নি।

বিপিএল কবে শুরু করতে পারি সেই আলোচনায় ইতোমধ্যে  আমাদের একটি বোর্ড মিটিং হয়েছে। সেখানে আমাদের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে, জাতীয় নির্বাচনের পরপরই আমরা বিপিএল করার কথা ভাবছি। জাতীয় নির্বাচন জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে শোনা যাচ্ছে পত্রপত্রিকায়। সেক্ষেত্রে আমরা ১০ তারিখ বা এর আগে-পরে একটা উপযুক্ত তারিখে বিপিএল শুরু করে থাকবো।জানুয়ারিতে শুরু করে আবার ফেব্রুয়ারিতেই শেষ করতে হবে। কারণ আমাদের শ্রীলঙ্কা সিরিজ আছে।’

আগামী বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফট এগিয়ে আনার কথাও জানালেন ইসমাইল হায়দার মল্লিক, ‘প্লেয়ার্স ড্রাফট করার চেষ্টা করব সেপ্টেম্বরের তৃতীয় বা শেষ সপ্তাহে করতে। যেন প্রত্যেকটি টিম দল গোছাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ সময় পায়। আমরা উনাদের সাথে আলোচনা করেই আমরা সময়টা ঠিক করছি।

 আমরা গতকাল এবং পরশু সম্ভাব্য যারা ফ্র্যাঞ্চাইজি আছে প্রত্যেককে জানিয়ে দিয়েছি যে, সেপ্টেম্বরে প্লেয়ার্স ড্রাফট করব ও খেলাটা শুরু করতে চাই। আমরা চাই ১০ জানুয়ারি থেকেই বিপিএল শুরু করতে। এর আগেও যদি করার সুযোগ থাকে ও জাতীয় নির্বাচন যদি আগে হয়ে যায় তাহলে আগেও করতে পারি।’

বিপিএলের সর্বশেষ আসরে অংশ নিয়েছিল সর্বমোট ৭টি দল। এবার একটি দল বাড়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানান মল্লিক, ‘আমাদের কাছে আগ্রহী তিন-চারটা প্রতিষ্ঠানের নাম নেওয়া আছে। আগের কেউ যদি কন্টিনিউ করতে না চায় তাহলে আমরা পরিবর্তন করে দিতে পারি। আমাদের যদি স্লট বাড়ে তাহলে একটা টিম বাড়াতেও পারি। এরকম আলাপ আলোচনা হয়েছে বোর্ড।  ফিনানসিয়াল টার্মস এবং টুর্নামেন্টের রুলস যারা না মানবে তাদেরকে নিয়ে আমরা পরবর্তী আসরে প্রসিড করব না। সব ফ্র্যাঞ্চাইজি এখন পর্যন্ত ভালো অবস্থানে আছে। ভালো সাড়া পাচ্ছি। রাজশাহীর জন্য দুটি প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখিয়েছে। কেউ যদি দল চালাতে না চায় তাহলে এক্ষেত্রে রাজশাহীর সুযোগ থাকবে। আবার যদি আমরা বিপিএল ৮ দল নিয়ে করি তাহলেও তাদের ‍সুযোগ হতে পারে।’

>>>  ভারতের অগ্রাধিকারের তালিকায় বাংলাদেশ প্রথম: প্রণয় ভার্মা

নির্বাচনের কারণে তিনটার বেশি ভেন্যুতে ম্যাচ আয়োজন সম্ভব হবে না। তবে থাকবে ডিআরএস। গত বিপিএলের লিগ পর্বে ছিল না ডিআরএস। এটা নিয়ে সেসময় ব্যাপক সমালোচনা হয়ে থাকে। তবে আগামী আসরে এই ভুল আর করতে চায় না বিসিবি। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব বললেন, ‘গতবার ডিআরএস আনতে পারিনি গ্রুপ ম্যাচে। কোয়ালিফায়ার এবং ফাইনাল ম্যাচে ছিল। এবার ডিআরএস কিন্তু কোনো প্রোডাকশন কম্পানি, বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল এদের কাছে নেই। বোর্ড সরাসরি ডিআরএস কম্পানির সাথে চুক্তি করেছে। চার বছরের জন্য আমরা তাদেরকে পাচ্ছি।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

সর্বশেষ

এই বিভাগের সর্বশেষ

সর্বশেষ :