টেস্ট অভিষেকে বাংলাদেশের চারজন ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরি আছে, ওয়ানডে অভিষেকে বাংলাদেশের পক্ষে কোনো ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরি নেই। সেই অতৃপ্তি প্রায় ঘুচিয়েই দিচ্ছিলেন তৌহিদ হৃদয়।
৮ রানের জন্য ওয়ানডে অভিষেক ম্যাচে সেঞ্চুরি করতে পারলেন না তৌহিদ হৃদয়। তাঁর নামটা এমন যে, অনায়াসে সেটির সঙ্গে মিলিয়ে বলা যায়—হৃদয়ের হৃদয় ভেঙে তাঁকে ৯২ রানে আউট করে দিয়েছেন আইরিশ পেসার গ্রাহাম হিউম।
আজ সিলেটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জীবনের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে দারুণ এক ইনিংস খেলে হিউমের বলে বোল্ড হয়ে আউট হয়ে গেছেন হৃদয়। ৮৫ বলের ইনিংসে ৮টি চার মেরেছেন ২টি ছয়ও। তবে এটা তো অনুমান করা মোটেই কঠিন কিছু নয় যে, ৯২ রান করার তৃপ্তির চেয়ে ৮ রান করতে না পারার হতাশাই বেশি আক্রান্ত করেছে তাকে। সেঞ্চুরি করতে পারলে ওয়ানডে অভিষেকেই সেঞ্চুরির ১৭তম প্লেয়ারের কীর্তি গড়তেন।
তা করতে না পেরে এর চেয়েও ছোট্ট একটা তালিকায় উঠেছে তাঁর নাম। ওয়ানডে অভিষেকে নার্ভাস নাইনটিজে আউট হওয়া ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হলেন হৃদয়। কাকতালীয়ভাবে, সর্বশেষ এই ঘটনাও ঘটেছে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। ২০২২ সালের ৮ জানুয়ারি কিংস্টোনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামার ব্রুকস আউট হয়েছিলেন ৯৩ রান করে।
সেঞ্চুরি করতে পারলে তা বাংলাদেশের জন্য প্রথম হতো। তা না পারলেও একটা জায়গায় এখন বাংলাদেশের এক নম্বর তৌহিদ হৃদয়। ওয়ানডে অভিষেকে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ ইনিংসটি এখন তাঁর। আগের সর্বোচ্চ করেছিল ৬৩ রান।
নাসির হোসেন যা করেছিলেন ২০১১ সালে জিম্বাবুয়ের সাথে হারারেতে। ওয়ানডে অভিষেকে বাংলাদেশের আর একজন ব্যাটসম্যানেরই হাফ সেঞ্চুরি আছে। ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই যেটি করেছিলেন ফরহাদ রেজা।
ওয়ানডে অভিষেককে বলা যেতে পারে সেটিরই পুরস্কার। সেঞ্চুরি না পাওয়া দুঃখ চিরদিনই থাকবে, তবে সুযোগটাকে যে ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছেন তৌহিদ হৃদয়।








