প্রিন্ট: ডিসেম্বর ১, ২০২৫, ১১:৪৬ পি.এম | প্রকাশ: ডিসেম্বর ২৮, ২০২২, ১১:০২ পূর্বাহ্ণ
মেট্রোরেলের আদ্যোপান্ত
দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আজ বুধবার উদ্বোধন হতে যাচ্ছে রাজধানীবাসীর বহুল প্রতীক্ষিত মেট্রেরেলের।বেলা ১১টার দিকে উত্তরার ১৫ নম্বর সেক্টরের সি-ব্লকের খেলার মাঠে মেট্রোরেলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে। সেখানে আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে রেলে চড়ে প্রধানমন্ত্রী নামবেন আগারগাঁওয়ে।
প্রথমেই প্রধানমন্ত্রী ফলকের একটি প্রতিকৃতি উন্মোচন করবেন। এরপর শুরু হবে সুধী সমাবেশ। পরে স্মারক ডাকটিকিট ও স্মারক নোট উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী। পরে সমাবেশস্থল থেকে প্রধানমন্ত্রী উত্তরা স্টেশনে যাবেন। সেখান থেকে ছাড়বে মেট্রোরেল। সেখানে প্রধানমন্ত্রী প্রথমে মূল ফলক পরিদর্শন এবং স্টেশন প্রাঙ্গণে বৃক্ষ রোপণ করবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী স্থায়ী কার্ড কিনে ভাড়া পরিশোধ করে প্ল্যাটফর্মে যাবেন। সেখানে অপেক্ষায় থাকা ট্রেনকে সবুজ পতাকা নেড়ে চলাচলের সংকেত দেবন প্রধানমন্ত্রী।
মেট্রোরেলের যাত্রা
রাজধানীর যানজট কমাতে ও নগরবাসীর যাতায়াত আরামদায়ক এবং দ্রুততর করতে মেট্রোরেলের কাজ শুরু হয় ২০১২ সালে। প্রকল্পটি ২০১২ সালের ১৮ ডিসেম্বর একনেকে অনুমোদন পায়। এরপর ২০১৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি জাইকার সঙ্গে চুক্তি হয় ডিএমটিসিএলের। কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনায় ২০১৩ সালে মেট্রোরেল স্থান পায়। এরপর মূল নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের ২৬ জুন। প্রথমে প্রকল্প নির্মাণে মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৬ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকা দিয়েছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ও ৫ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকার। বর্তমানে মেট্রোর নির্মাণ খরচ আরও বেড়েছে। এখন মোট ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৪৭১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।
মেট্রোরেল বাস্তবায়ন করছে ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)
ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) বা মেট্রোরেল সম্পরেক কিছু তথ্য-
ঢাকায় এমআরটি হবে মোট ৫টি
দেশের প্রথম মেট্রোরেল এমআরটি লাইন-৬
পুরো পথ উত্তরা থেকে কমলাপুর, দৈর্ঘ্য ২১.২৬ কিমি
পুরো পথে স্টেশন আছে ১৭টি
চালু হচ্ছে উত্তরা থেকে আগারগাঁও, দৈর্ঘ্য ১১.৭৩ কিমি
আপাতত চালু হচ্ছে ৯টি স্টেশন
উত্তরা থেকে আগারগাঁও যেতে লাগবে ১৬ থেকে ২০ মিনিট
উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০.১০ কিমি রেলপথের নির্মাণকাজ শেষ
উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন হবে ২০২৩ সালে
উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন হবে ২০২৫ সালে
পুরো পথে ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন সম্ভব
মূল পথে দিনে ৫ লাখ যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন
একটি ট্রেন সেটে দুটি ইঞ্জিনসহ মোট ৬টি কোচ থাকবে
জাপান থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে ২৪ সেট ট্রেন
প্রথম ধাপে চলবে ১০ সেট ট্রেন এক ট্রেনে সর্বোচ্চ যাত্রীর ধারণক্ষমতা ২ হাজার ৩০৮ জন
মাঝের ৪ কোচের প্রতিটিতে যাত্রীর ধারণক্ষমতা ৩৯০ জন
ট্রেইলার কোচের (ইঞ্জিন) প্রতিটিতে সর্বোচ্চ যাত্রীর ধারণক্ষমতা ৩৭৪ জন
ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১১০ কিমি
নারীদের জন্য সব ট্রেনেই থাকবে আলাদা কোচ
মেট্রোরেলে প্রতিদিন ৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকার সময় বাঁচবে
অন্যান্য গাড়ি চলাচলের খরচ কমবে ১ কোটি ১৮ লাখ টাকা
২০১২ সালে ১৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেল প্রকল্প একনেকে অনুমোদন পায়
২০১৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি জাইকার সঙ্গে চুক্তি হয়
কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনায় ২০১৩ সালে মেট্রোরেল স্থান পায়
নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের ২৬ জুন
ট্রেনের প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৫ টাকা, সর্বনিম্ন ২০, সর্বোচ্চ ১০০ টাকা
মোট ব্যয় ৩৩ হাজার ৪৭১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা
নিরাপত্তায় থাকবে এমআরটি পুলিশ
মেট্রো চলবে বিদ্যুতে, জাতীয় গ্রিড থেকে চার পথে আসবে বিদ্যুৎ
উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত চলাচলে প্রতিদিন ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হবে।
উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলাচলে প্রয়োজন পড়বে ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ
মেট্রোরেলের ১৭টি স্টেশন হলো; উত্তরা উত্তর - উত্তরা সেন্টার - উত্তরা দক্ষিণ - পল্লবী - মিরপুর ১১ - মিরপুর ১০ - কাজীপাড়া - শেওড়াপাড়া - আগারগাঁও - বিজয় সরণি - ফার্মগেট - কারওয়ান বাজার - শাহবাগ - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় - বাংলাদেশ সচিবালয় - মতিঝিল - কমলাপুর