আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্রের সাথে জমা দিতে হবে আয়কর সনদও।নাহয় বাতিল হতে পারে প্রার্থিতা।
আজ শনিবার(২৫ নভেম্বর) ইসি সূত্রে এই তথ্য জানা যায়। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক সভায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।
এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য সকল আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্দেশনাও দিয়েছেন।
সভার কার্যবিবরণী থেকে জানা যায়, ইসি সচিব জাহাংগীর আলম বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-১৯৭২-এর সর্বশেষ সংশোধনী অনুযায়ী, মনোনয়নপত্রের সাথে সর্বশেষ আয়কর বিবরণী ও টিআইএন দাখিলের প্রমাণ সংযুক্ত করার প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।
এক্ষেত্রে ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার যুগ্ম সচিব মো. ফরহাদ আহাম্মদ খানকে মনোনয়নপত্রের সাথে প্রার্থীর সর্বশেষ আয়কর সনদ দাখিলের বিষয়ে সুষ্পষ্ট পরিপত্র জারি করারও নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১২-এর ৩(খ)এর(ঝ) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, আয়কর আইন, ২০২৩-এর ধারা ১৬৬-এর অধীন দাখিলকৃত রিটার্নের প্রত্যয়িত অনুলিপি ও ওই আইনের ধারা ২৬৪-এর বিধান অনুসারে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র প্রার্থী মনোনয়নপত্রের সাথে জমা দিতে হবে।
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, আগে টিআইএন ও আয়কর বিবরণী জমা দিলেই হতো। এবার থেকে আয়কর সনদও জমা দিতে হবে। অন্যথায় বাতিলও হতে পারে পার্থীর মনোনয়নপত্র।
এদিকে আরপিওতে প্রার্থীর যোগ্যতা-অযোগ্যতাও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
এক্ষেত্রে আদালত থেকে কোনো ব্যক্তি যদি ’অপ্রকৃতিস্থ’ বলে ঘোষিত হন, তবে তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।
সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হওয়ার যোগ্য-অযোগ্যতার বিধানে এমনটিই বলা হয়েছে সংবিধানেও। সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের দফা ১ এবং ২ অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক হলে এবং ২৫ বছর বয়স হলে সংসদের সদস্য নির্বাচিত হতে ও সংসদ সদস্য থাকতে পারবেন। এটিকে যোগ্যতা হিসেবে ধরা হচ্ছে।
আবার এই যোগ্যতা থাকলেও অন্য কারণে একজন ব্যক্তি অযোগ্য হতে পারেন।
এক্ষেত্রে কোনো উপযুক্ত আদালত থেকে তিনি অপ্রকৃতিস্থ হিসেবে ঘোষিত হলে, দেউলিয়া হওয়ার পর দায় থেকে অব্যাহতি না পেলে, কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন করলে কিংবা বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা বা স্বীকার করলে তা অযোগ্যতা হিসেবে গণ্য করা হবে। তবে পরবর্তীতে যদি বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেন কিংবা পুনরায় বাংলাদেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন, তবে অযোগ্য হবেন না।
কোনো ব্যক্তি নৈতিক স্খলনজনিত কারণে কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে কমপক্ষে দুই বছরের কারাদণ্ড পেলে, কারাভোগের পর পাঁচ বছর সময় অতিবাহিত না হলে তিনি প্রার্থী হতে পারবেন না।
অন্যদিকে ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ যোগসাজশকারী (বিশেষ ট্রাইব্যুনাল) আদেশের অধীনে যেকোনো অপরাধের জন্য দণ্ডিত হয়ে থাকলে ও প্রজাতন্ত্রের কোনো লাভজনক পদে আসীন থাকলেও সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে অযোগ্য হতে হবে।







