সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে বাসের ২০ বছর এবং পণ্যবাহী মোটরযানের ২৫ বছর অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল নির্ধারণ করেছে সরকার। এই-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে সড়ক পরিবহন এবং মহাসড়ক বিভাগ। একইসাথে মোটরযান স্ক্র্যাপ নীতিমালা-২০২৩ এর খসড়াও প্রকাশ করা হয়েছে। তবে প্রজ্ঞাপন জারি শুধু নয় দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছেন পরিবহন বিশেষজ্ঞরা।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সড়কে দুর্ঘটনা কমাতে ও শৃঙ্খলা ফেরাতে এবার যাত্রীবাহী বাস ও পণ্য বহনকারী মোটরযানের অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বাসের ক্ষেত্রে ২০ সেইসাথে পণ্যবাহী যানের ক্ষেত্রে আয়ু হবে ২৫ বছর।

সড়ক পরিবহন এবং মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী জানান, যেসব বাণিজ্যিক যানবাহনের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, সেগুলোর ফিটনেস সনদ হালনাগাদ না করে ডাম্পিংয়ে পাঠানো হবে।

সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্ঘটনা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান জানান, স্ক্র্যাপ করা যানবাহনের অংশ পুনর্ব্যবহারের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় এবং অটোমোবাইল শিল্পের প্রসারের সম্ভাবনা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

স্ক্র্যাপ প্রক্রিয়া পরিচালনায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) আলাদা উইং গঠনের কথা বলা আছে এই নীতিমালাতে।