
উদ্বোধন অনুষ্ঠান, বর্ণাঢ্য র্যালি, মেজবানী, স্মরণিকা প্রকাশ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে সোমবার(২৫ এপ্রিল) খুলনা জেলার ১৪২ বছর পূর্তিতে খুলনা দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে সকালে খুলনার শিববাড়ি মোড়ে বর্ণাঢ্য র্যালির উদ্বোধন করেছেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কেডিএ) চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম মিরাজুল ইসলাম, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রাকিবুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, কেডিএ-এর সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) অধ্যাপক রুনু রেজা, বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি সাবেক সভাপতি হায়দার গাজী সালা উদ্দিন রুনু, সাবেক সভাপতি শেখ মোশাররফ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা স ম বাবর আলী, মকবুল হোসেন মিন্টু, বিএমএ খুলনার সাধারণ সম্পাদক ডা. মেহেদী নেওয়াজ, খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা, সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন, খুলনা মহানগর কমিটির সভাপতি গাজী আলাউদ্দিন আহমদ, বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসীর সাধারণ সম্পাদক সরদার আবু তাহের, দৈনিক দেশ সংযোগের সম্পাদক মুন্সী মাহবুব আলম সোহাগ, খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, সংগঠনের পরিবেশ সম্পাদক এস.এম ইকবাল হোসেন বিপ্লবসহ অন্যান্যরা।
বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সমন্বয় কমিটির মহাসচিব শেখ মোহাম্মদ আলী।
খুলনা দিবস উপলক্ষ্যে অতিথিরা বলেন, দলমত নির্বিশেষে সবাইকে খুলনার উন্নয়নে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। একসময়ের অবহেলিত এবং বঞ্চিত খুলনা আজ উন্নয়নের ধারায় ফিরে এসেছে। বর্তমান সরকার খুলনার উন্নয়নের জন্য ব্যাপক কাজ করে যাচ্ছে।
এসময় অতিথিরা খুলনার চলমান ড্রেনেজ ও রাস্তার নির্মাণ কাজ দ্রুত সম্পন্ন করে খুলনা বাসীর ভোগান্তির লাঘবের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোর দাবী জানান। পরে মেয়রের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য র্যালি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয় । র্যালিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষও অংশগ্রহণ করেন।
প্রসঙ্গত, ১৮৪২ সালে ভৈরব-রূপসা বিধৌত পুণ্যভূমি নয়াবাদ থানা ও কিসমত খুলনাকে কেন্দ্র করে নতুন জেলার সদর দপ্তর স্থাপিত হয় খুলনায়। খুলনা মহকুমা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ব্রিটিশদের প্রশাসনিক এলাকা বৃদ্ধি ও ভৌগলিক অবস্থার কারণে তৎকালীণ সময়ে খুলনা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। মাত্র ৪০ বছরের ব্যবধানে ৪ হাজার ৬৩০ বর্গমাইল এলাকা, ৪৩ হাজার ৫০০ জনসংখ্যা অধ্যুষিত খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরাকে নিয়ে ১৮৮২ সালের ২৫ এপ্রিল গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে খুলনা জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। আর সেই পরিসংখ্যান অনুযায়ী খুলনার ১৪১তম জন্মদিন আজ। এর আগে, খুলনা ছিল যশোর জেলার মহকুমা। খুলনা জেলার প্রথম ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ব্রিটিশ শাসক ডাব্লিউ এম ক্লে।
প্রকাশক: মনসুর মো. এন হাসান
সম্পাদক: মো. আশরাফুল ইসলাম
প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী-সম্পাদক: আনোয়ার সজীব