ঢাকা, সোমবার, ১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বন্ধ হয়ে গেল পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র

দৈনিক স্লোগান, সারাদেশ

কয়লার অভাবে সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে পটুয়াখালীর ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট সম্পন্ন পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। 

আজ সোমবার দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটের দিকে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যায়।

এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিটের মধ্যে ৬৬০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার একটি ইউনিট গত ২৫শে মে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অপর ইউনিটটি আজ সোমবারে বন্ধ হয়ে গেছে। 

প্ল্যান্টের ম্যানেজার শাহ আব্দুল মাওলা দৈনিক স্লোগানকে এই তথ্য দিয়ে নিশ্চিত করেছেন।

গতকাল পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহ আব্দুল হাসিব জানান, আগামী ২০-২৫ দিন এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

উৎপাদন শুরুর পর বন্ধ না হলেও, এখন সাময়িক বন্ধের কারণে পটুয়াখালীসহ দক্ষিণাঞ্চলে লোডশেডিং বাড়ার আশঙ্কা আরও বেড়েছে।

বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কাছে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটির বর্তমান পাওনা প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। ডলার সংকট থাকায় এলসি খোলা যাচ্ছিল না। আর এই কারণে কয়লা আমদানি করাও সম্ভব হচ্ছে না। তাই কয়লার অভাবে বন্ধ হতে যাচ্ছে এই বিদ্যুৎ উৎপাদন।

শাহ আব্দুল হাসিব বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সরকার ১০০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। এতে নতুন করে কয়লা সরবরাহ শুরু হবে। তবে কয়লা আসতে অন্তত ২০-২৫ দিন সময় লাগবে। এই সময় বন্ধ থাকবে কেন্দ্রটির বিদ্যুৎ উৎপাদন। এরপর কয়লা এলে জুনের শেষ সপ্তাহে আবারও উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হবে।’

জানা গেছে, পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনায় প্রয়োজনীয় কয়লা কিনতে ঋণ দেয় বিদ্যুৎকেন্দ্রটির চীনা অংশীদার চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কোম্পানি (সিএমসি)। চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত এই সংস্থা আর বাংলাদেশের নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেডের যৌথ বিনিয়োগে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটির বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়েছিল ২০২০ সালের মে মাসে। 

বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পুরোদমে চালাতে গড়ে প্রতিদিন ১২ হাজার টন কয়লা দরকার হয়। এর পুরোটাই ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করে আসছিল সিএমসি। ডলার সংকট দেখা দেওয়ায় ফলে গত ৬ মাস ধরে কয়লার বিল পরিশোধ করা হয়নি। ফলে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত কয়লা বাবদ প্রায় ৩৯০ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা বকেয়া হয়ে থাকে।

>>>  ৩ দিনের মধ্যে তাপমাত্রা কমতে পারে

এদিকে, এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট বন্ধ হওয়ার পর থেকেই পটুয়াখালীতে বিদ্যুতের লোডশেডিং বেড়েছে ও তীব্র গরমে মানুষের ভোগান্তি শুরু হয়েছে। 

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

সর্বশেষ

এই বিভাগের সর্বশেষ

সর্বশেষ :