
প্রতিবছরের মতো এবারও নওগাঁয় গাছ থেকে আম পাড়ার দিন নির্ধারণ করে দিয়েছিল জেলা প্রশাসন থেকে। সেই মোতাবেক আজ সোমবার (২২ মে) থেকে শুরু হচ্ছে আম পাড়া । এরপর পর্যায়ক্রমে বাজারে আসবে সুস্বাদু গোপালভোগ, ক্ষীরশাপাত, আম্রপলি, নাগ ফজলি, ল্যাংড়া, বারী-৪, গৌরমতিসহ অন্যান্য সব আম।
এর আগে গত ৭ মে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এক সভায় জেলা প্রশাসক (ডিসি) খালিদ মেহেদী হাসান জাত ভেদে আম পাড়ার সময়সূচি নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন।
সভায় আম চাষি, ব্যবসায়ী, কৃষি কর্মকর্তা এবং প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান জানান, এই বছর আম পাড়া শুরু হবে (২২ মে) থেকেই। এই দিন বা তার পরে যেকোনো দিন গুটি আম পাড়া যাবে বা বাজারজাত করা যাবে। এরপর আসবে গোপালভোগ।গোপালভোগ গাছ থেকে পাড়া যাবে ৩০ মে থেকে।
এই ছাড়াও ক্ষীরশাপাত বা হিমসাগর ৫ জুন, নাগ ফজলি ৮ জুন, ল্যাংড়া ও হাঁড়িভাঙা ১২ জুন, ফজলি আম ২২ জুন এবং আম্রপলি ২৫ জুন থেকে নামানো যাবে। সর্বশেষ ১০ জুলাই থেকে নামানো যাবে আশ্বিনা, বারী-৪ এবং গৌরমতি জাতের আম।
মূলত অপরিপক্ব অবস্থায় পেড়ে তাতে মেডিসিন দিয়ে পাকিয়ে কেউ যাতে আম বাজারে নিয়ে আসতে না পারে এই জন্যই গত কয়েক বছর ধরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আম পাড়ার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসনের দেওয়া সময়ের নির্ধারিত দিনের আগে নির্ধারিত আম পাড়া যাবে না। তবে আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই যদি কোনো বাগানে আম পেকে যায় তাহলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েই চাষিরা আম পাড়তে পারবে।
সভায় নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, জেলায় এই বছর ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ৫২৫ হেক্টর বেশি। প্রতি হেক্টর জমিতে ১২ দশমিক ৫০ টন হিসাবে তিন লাখ ৭৫ হাজার ৫৩৫ টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সেটি ছাড়িয়ে যেতে পারে। এই বছর প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার আম বেচাকেনা হতে পারে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ থেকে।
প্রকাশক: মনসুর মো. এন হাসান
সম্পাদক: মো. আশরাফুল ইসলাম
প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী-সম্পাদক: আনোয়ার সজীব