পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে দূরপাল্লার যানবাহনের সংখ্যা কমেছে। এই ছাড়া সড়ক সম্প্রসারণ করে লেনসংখ্যা বাড়ানো, সড়ক বিভাজক দিয়ে স্থানীয় গণপরিবহন আলাদা লেন (সার্ভিস লেন) করে দেওয়া হয়েছে। পৃথক লেন করা হয়েছে দূরপাল্লার বাসের জন্যও। বিভিন্ন স্থানে পদচারী–সেতু (ফুটওভারব্রিজ) নির্মাণ করা হয়েছে। এসবে মহাসড়কটিতে যানজটের ভোগান্তি শেষ হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হলেও সেটি হয়নি।
পরিবহনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, পথচারী এবং যাত্রীরা বলছেন, ওই মহাসড়কে ভোগান্তির কারণগুলো হলো মহাসড়কের সার্ভিস লেনের কিছু অংশ দখল করে ট্রাক ও প্রাইভেট কার স্ট্যান্ড বসানো, ভাসমান দোকান, মহাসড়কঘেঁষা বাজার, স্থানীয় গণপরিবহনের চালকদের সার্ভিস লেন ব্যবহারে অনীহা, পরিবহনগুলোর যত্রতত্র পার্কিং ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারির অভাব।
গত বৃহস্পতিবার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের হেমায়েতপুর, সাভার, নবীনগর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ডে ঢাকাগামী সার্ভিস লেনের কিছু অংশ দখল করে ২০-২৫টি প্রাইভেট কার রাখা হয়েছে। অপর পাশের আরিচাগামী লেনে অপেক্ষা করছে ১০-১৫টি লেগুনা। এতে সার্ভিস লেনে তৈরি হয়েছে যানজট। একই চিত্র দেখা যায়, সাভার বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন এলাকার আরিচাগামী লেন, নবীনগর থেকে হেমায়েতপুর পর্যন্ত প্রায় প্রতিটি বাসস্ট্যান্ডের সার্ভিস লেনে।
সার্ভিসলেনেভাসমানদোকান
সাভার বাসস্ট্যান্ডে মহাসড়কের উভয় পাশেই সার্ভিস লেনের কিছু অংশ দখল করে প্রতিদিন বসছে খাবার, পোশাক ও সবজির ভাসমান দোকান। নবীনগর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিকেলের পর থেকে আরিচাগামী সার্ভিস লেনের প্রায় পুরোটাই ভাসমান দোকানদারদের দখলে চলে যায়। এতে এই লেনে তৈরি হয়ে থাকে যানজট। ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রী ও পথচারীদের।
এই ছাড়া ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ঘেঁষে কিছু এলাকায় বাজার, মাছ এবং সবজির আড়ত গড়ে উঠেছে। বাজার ও আড়তে ভ্যান–পিকআপে করে পণ্য ওঠানো-নামানো করানো হয় মহাসড়কে কিছু অংশ দখল করেই। বৃহস্পতিবার সকালে সাভার, গেন্ডা এবং হেমায়েতপুর এলাকায় মহাসড়কঘেঁষা বাজারগুলোর সামনে এমন চিত্র দেখা গেছে। দীর্ঘক্ষণ পণ্য ওঠানো–নামানোর জন্য যানজট দেখা দেয়। মানিকগঞ্জ থেকে ঢাকায় যাতায়াতকারী শহিদুল ইসলাম বলেন, হেমায়েতপুর থেকে নবীনগর পর্যন্ত ওই লেনে (সার্ভিস লেনে) বাস একবার ঢুকলেই বিপদ। বাসস্ট্যান্ড পার হতে কমপক্ষে ৪০ মিনিট থেকে ঘণ্টাখানেক দেরি হয়ে থাকে।







