
রোজা মুসলমানদের জন্য অবশ্য পালনীয় বিধান। শেষ রাতে সাহেরি পর দিনশেষে ইফতার পরম আনন্দের মুহূর্ত। আর্থিক অনটন ও নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্যে কষ্টভোগী অসহায়, দরিদ্র এবং পথচারী মানুষের মুখে হাসি ফোঁটানোর জন্য মাসব্যাপী ইফতার বিতরণ করে আসছে কুমিল্লা সিটি ফাউন্ডেশন।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এই সংগঠনটি প্রত্যেকদিন গড়ে ৫০০ শত অসহায়, দরিদ্র ও পথশিশুদের মাঝে ইফতার বিতরণ করে আসছে।

ফাউন্ডেশনের সভাপতি আলহাজ্ব জামাল খন্দকার বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এ সাময়িক সংকটে সমাজে একে ওপরের পাশে দাঁড়ানো রমজান ও ইসলামের মূলনীতি। আমাদের প্রতি সাধারণ মানুষের ভালোবাসার সামনে আমাদের এ উদ্যোগ খুবই সামান্য। তিনি বলেন,আমাদের এই কার্যক্রম ২৯ রোজা পর্যন্ত চলমান থাকবে। আমরা দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই যাতে আমরা ভালোভাবে সবার মাঝে ইফতার বিতরণ করতে পারি।
তিনি আরো বলেন, আমরা আমাদের এই কাজের ফলে অনেক উৎসাহ ও উদ্দীপনা পেয়েছি, প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গের কাছে আমাদের চাওয়া আপনারাও এসব পথ শিশু অসহায় মানুষের পাশে থেকে সাহায্যের হাত বাড়িতে দিবেন।
সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন বলেন, আমরা সর্বদা ভালো কাজের সঙ্গে থাকি। অরাজনৈতিক আমাদের সংগঠনটি মাদকমুক্ত যুব সমাজ গড়তে কাজ করে যাচ্ছে। এই জন্য খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বই পড়াসহ সামাজিক বিভিন্ন মহৎ কাজের সঙ্গে সংগঠনটি জড়িত রয়েছে। আমরা সবাই ব্যবসা, চাকরিসহ বিভিন্ন কাজে জড়িত। আমরা নিজেরা প্রত্যেকেই কিছু কিছু করে টাকা দিয়ে একটি তহবিল গঠন করি। সেই তহবিল থেকে সমাজের অসহায় মানুষকে সহযোগিতা করি।
প্রতিদিন ইফতার বিতরণ কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকছেন সংগঠনটির উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য সালাউদ্দিন , মোসলেম উদ্দিন , হারুনুর রশিদ, শাহ আলম ভূঁইয়া। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম লিটন, গোলজার হোসেন নির্বাহী। সদস্য মাসুদ করিম মাসুম, গিয়াস উদ্দিন , আরিফ হোসেন, আনোয়ার হোসেন।
এছাড়া, সংগঠনটি ভবিষ্যতে কুমিল্লা জেলা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ভ্রাম্যমাণ গাড়ির মাধ্যমে ঘুরে ঘুরে ইফতার বিতরণও করার জন্য উদ্যেগ গ্রহণ করছে বলে জানান।
প্রকাশক: মনসুর মো. এন হাসান
সম্পাদক: মো. আশরাফুল ইসলাম
প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী-সম্পাদক: আনোয়ার সজীব