পবিত্র ঈদুল আজহার সরকারি ছুটি এক দিন বাড়িয়ে চার দিন করার সুপারিশ করেছে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি। এই ক্ষেত্রে ২৭ জুন থেকে এই ছুটি শুরু করার পক্ষে রয়েছে কমিটি।
মন্ত্রিসভা এই সুপারিশ অনুমোদন দিলে ঈদের ছুটি হতে পারে ২৭ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত। এই ছুটির পরদিনই ১ জুলাই শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন। ফলে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির সুপারিশ গ্রহণ করা হলে এবারের ঈদের ছুটি হবে বাস্তবে পাঁচ দিন। গত ঈদুল ফিতরেও এক দিন ছুটি বাড়িয়ে দিয়েছিল সরকার।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে এই সুপারিশের কথা সাংবাদিকদের জানান কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। সভায় বেশ কয়েকজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং বিভিন্ন সংস্থার শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২৯ জুন পবিত্র ঈদুল আজহা (কোরবানির ঈদ) উদ্যাপিত হতে পারে। তবে ঈদের দিনটি নির্ভর করছে চাঁদ দেখার ওপরেই। হিজরি বর্ষপঞ্জি অনুসারে জিলহজ মাসের ১০ তারিখে ঈদুল আজহা উদ্যাপিত হয়।
পূর্ব ঘোষিত সরকারি ছুটির তালিকা অনুযায়ী ২৮ থেকে ৩০ জুন ঈদুল আজহার ছুটি আছে (চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল)। এখন আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি ২৭ই জুন থেকে এই ছুটি ঘোষণার সুপারিশ করে থাকে।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের বলেন, ঈদের ছুটিতে ঘরমুখো বহু মানুষ মারা যায় (দুর্ঘটনায়)। গত ঈদুল ফিতরের সময়ে যথেষ্ট স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ ভ্রমণ ছিল। এই বছরও যাতে সেটি হয় সে জন্য অনেকে মত দিয়েছেন ঈদের ছুটি ২৭ জুন থেকেই দেওয়া হয়ে থাকে। এটি মন্ত্রিসভার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে। যদি মন্ত্রিসভা অনুমোদন করে থাকে তাহলে হয়তো যাতায়াতে চাপ কম পড়বে, মানুষ একটু নিরাপদে যেতে পারবে।
মন্ত্রী একাধিকবার স্মরণ করে দিয়ে বলেন, এটি সুপারিশ,কিন্তু এটি সিদ্ধান্ত নয়।







