ঢাকা, সোমবার, ১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

অন্তঃসত্ত্বা নারীকে গলা কেটে হত্যা

দৈনিক স্লোগান, অপরাধ


ভোলায় রাতের আধাঁরে তিন সন্তানের সাথে ঘুমিয়ে থাকা বিবি কুলসুম (৪০) নামের চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত কুলসুম সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের সাজিকান্দি গ্রামের মো. তছির মাঝির স্ত্রী ছিলেন। সোমবার (১৫ মে) সকাল ৯টার দিকে ওই এলাকার তাদের বসত ঘর থেকে এই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনার পর পুলিশের কয়েকটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে। তবে রবিবার (১৪ মে) দিবাগত রাতে যে কোনো সময় এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে ধারণা করছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা। 

পুলিশ এবং পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রতিপক্ষের সাথে জমিসংক্রান্ত মামলার ভয়ে তাঁর স্বামী বেশ কয়েকদিন ধরে অন্যত্রে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাই কুলসুম তাঁর তিন সন্তান নিয়ে রাতে নিজ বসত ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাতের আধাঁরে দুর্বৃত্তরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকে।

নিহতের স্বজনরা তাঁর চার মাসের অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, প্রতিপক্ষের সাথে জমিসংক্রান্ত বিরোধের মামলার ভয়ে কুলসুমের স্বামী অন্যত্রে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ঘটনার দিন রাতে কুলসুম তিন সন্তান নিয়ে ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাতে কে বা কারা কুলসুমকে হত্যা করেছে তা কেউই টের পায়নি। স্বামী তছির গতকাল রবিবার দিবাগত রাতে কুলসুমের ফোনে একাধিকবার কল দিয়েছে। কল রিসিভ না করায় তছির তাঁর বড় ছেলে হানিফকে আজ সোমবার সকালে ফোন করে বাড়িতে যেতে বলে। বড় ছেলে বিয়ে করে একই গ্রামেই থাকে। বড় ছেলে বাড়িতে গিয়ে এই হত্যাকণ্ড দেখতে পায়। খবর পেয়ে স্বামী তছিরও বাড়িতে ছুটে আসেন।

নিহতের দেবর ইউনুস (২৬) জানান, গত কিছু দিন আগে তাদের সাথে প্রতিবেশী কাওছার, বিল্লাল, আকতার, কামাল, জামাল এবং ছিদ্দিক গংদের সাথে বন্ধকি জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনায় উভয় পক্ষের ভোলা সদর থানায় মামলা চলমান রয়েছে। তারা সকল ভাই প্রতিপক্ষের মামলায় অভিযুক্ত আসামি থাকায় পুলিশের ভয়ে পালিয়ে ছিলেন। তাদের প্রতিপক্ষরা এই সুযোগে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছেন ইউনুস।

>>>  জবির আইন অনুষদ ছাত্রলীগের ইফতার বিতরণ

ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন ফকির জানান, লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে নিহত নারীর অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে ঘটনার রহস্য উদঘাটনে জেলা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) এবং সিআইডির টিম মাঠে কাজ করছে। তদন্ত শেষে ঘটনার মূল রহস্য জানা যাবে। আশা করা হচ্ছে খুব দ্রুত এই ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

সর্বশেষ

এই বিভাগের সর্বশেষ

সর্বশেষ :