সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া রাজশাহী এবং সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে বিকেল ৪টায়। এই সময়ে দুই সিটিতে বড় বিশৃঙ্খলা বা অপ্রতীকর কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে কোথাও কোথাও ভোটারের উপস্থিতি ছিল কম।
দুই সিটির ভোট গ্রহণ শেষ। চলছে গণনার কার্যক্রম।

ভোটারদের ভোটে নির্বাচিত হবেন নগর পিতা। দুই সিটিতেই এবার সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট গ্রহণ হয়েছে। আজ ভোট গ্রহণের জন্য সিলেট এবং রাজশাহী দুই নগরে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

বুধবার (২১ জুন) দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহী সিটি নির্বাচনের দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে থাকে।

সংঘর্ষের সময় একপক্ষ আরেকপক্ষের নির্বাচনী ক্যাম্পে ভাঙচুর করে থাকে। এতে উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন। নগরীর ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কেশবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের বাইরে এই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। 

এই সিটিতে বৃষ্টির ভোগান্তিতে পড়েন ভোটাররা।

বুধবার বেলা ১১টার পর থেকেই থেমে থেমে শুরু হয় বৃষ্টি।

অন্যদিকে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পুরনো ২৭টি ওয়ার্ডে দ্রুত ভোট দিতে পেরেছেন ভোটাররা। তবে নতুন সংযুক্ত হওয়া ১৫টি ওয়ার্ডে ভোট চলছিল মন্তর গতিতে। গরমে ঘেমে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন তারা।

রাজশাহী এবং সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৪০ শতাংশের মতো ভোট পড়তে পারে বলে জানিয়েছে ইসি রাশেদা খাতুন।

বুধবার (২১ জুন) নির্বাচন ভবনে সিসি ক্যামেরায় অর্ধবেলা ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণের পর এমন তথ্যই জানিয়েছেন তিনি।

ইসি রাশেদা সুলতানা বলেন, প্রথম চার ঘণ্টায় ২০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। আর দিনশেষে ভোট পড়ার হার ৪০ শতাংশের মতো হতে পারে বলে আমাদের ধারণা। ভোটাররা শান্তিপূর্ণভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিচ্ছে। কোনো অনিয়ম নেই। বৃষ্টির কারণে কিছুটা উপস্থিতি কমলেও সার্বিকভাবে ভোটার উপস্থিত ছিল অনেক ভালো।

রাজশাহীর একটি কেন্দ্র থেকে এক নারী ভোটারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) 'র রাশেদা সুলতানা।

সিলেট সিটিতে ১৯০টি ভোটকেন্দ্রের এক হাজার ৩৬৭টি ভোটকক্ষে চার লাখ ৪৭ হাজার ৭৫৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ পাচ্ছেন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন দুই লাখ ৫৪ হাজার ২৩৬ জন, নারী ভোটার দুই লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৭ জন ও ছয়জন হিজড়া ভোটার রয়েছেন।

এই সিটিতে মেয়র পদে আটজন, ৪২টি সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ২৯৪ জন ও ১২টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৮৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

মেয়র প্রার্থীরা হলেন- জাতীয় পার্টির মো. নজরুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাহমুদুল হাসান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম, স্বতন্ত্র মো. আব্দুল হানিফ, মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন, মো. শাহ জাহান মিয়া ও মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা।

অন্যদিকে রাজশাহী সিটিতে ১৫৫টি ভোটকেন্দ্রের এক হাজার ১৫৩টি ভোটকক্ষে তিন লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। এর মধ্যে এক লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন পুরুষ, ও এক লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন মহিলা ও ছয়জন হিজড়া ভোটার রয়েছেন।

মেয়র পদে চারজন, ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১১১ জন ও ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মেয়র প্রার্থীরা হলেন- জাতীয় পার্টির মো. সাইফুল ইসলাম স্বপন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এ এইচ এম খায়রুজ্জামান (লিটন), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. মুরশিদ আলম ও জাকের পার্টির মো. লতিফ আনোয়ার।