জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মির্জা আজমের বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়াকে কেন্দ্র করে মারুফা আক্তার (পপি) কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ গত শনিবার এই চিঠি দিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার(২৮ নভেম্বর) সকালে চিঠিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের পর বিষয়টি জানাজানি হয়।

মির্জা আজম এবং মারুফা আক্তার দুজনই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা। মির্জা আজম আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মারুফা আক্তার কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য পদে আছেন। এর পাশাপাশি মারুফা জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদেও নিযুক্ত আছেন।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘আপনার (মারুফা) ব্যবহৃত ফেসবুক আইডিতে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম সম্পর্কে অযৌক্তিক, ভিত্তিহীন অভিযোগ ও তাঁর (মির্জা আজম) মরহুম বাবা-মা এবং পরিবার-পরিজন সম্পর্কে অশালীন বক্তব্য প্রদান করেছেন। আওয়ামী লীগ জামালপুর জেলা শাখার সদস্য পদে থেকে আপনার (মারুফা) এই ধরনের বক্তব্য প্রদান অসাংগঠনিক, বিব্রতকর এবং সংগঠনের সার্বিক শৃঙ্খলাপরিপন্থী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে আপনার এহেন ভূমিকা গ্রহণযোগ্য নয়। এমতাবস্থায়, সংগঠনের বৃহত্তর স্বার্থে, আপনার ফেসবুক স্ট্যাটাসগুলোর উপযুক্ত ব্যাখ্যা আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রদান করার জন্য আপনাকে বলা হলো।’

এই ব্যাপারে বক্তব্য জানার জন্য মারুফা আক্তারের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি কল ধরেননি।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ্র বলেন, ফেসবুকে আপত্তিকর স্ট্যাটাস দেওয়ার বিষয়ে মারুফা আক্তারের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। ৭ কার্যদিবসের মধ্যে চিঠিতে তাঁকে উপযুক্ত ব্যাখ্যা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

মির্জা আজম ২০ নভেম্বর জামালপুরে আওয়ামী লীগের এক অনুষ্ঠানে মারুফা আক্তারকে লাঞ্ছিত করেন বলে অভিযোগ। মারুফা আক্তার নিজেই ওই অভিযোগ তুলে ২৩ নভেম্বর ফেসবুকে মির্জা আজম এবং তাঁর পরিবারকে নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন।